চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় ফণির আগমন

অরক্ষিত আনোয়ারা উপকূল শঙ্কায় লোকজন

নিজস্ব সংবাদদাতা, আনোয়ারা

১ মে, ২০১৯ | ১:৪৭ পূর্বাহ্ণ

১৯৯১ সালের প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ের বহু বছর অতিবাহিত হলেও আনোয়ারা উপকূলীয় এলাকা এখনো অরক্ষিত। গত ২৮ বছরেও স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র কথা শুনে তাই উপকূলবাসীর মনে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত সোমবার আনোয়ারা উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় ঘূর্ণিঝড় ফণির ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য উপজেলা প্রশাসন আহ্বান জানিয়েছে। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল স্মরণকালের ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী আনোয়ারায় ১৪ হাজার ৭০ জন নারী-পুরুষ-শিশু মারা গিয়েছিল।
ইতিমধ্যেই আনোয়ারা উপকূলীয় এলাকায় স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এমপির সার্বিক সহযোগিতায় দুইশত আশি কোটি টাকার টেন্ডার হয়। স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণে ব্লক ও মাটির কাজ চলছে। ঠিকাদারেরা কাজটি পেলেও যথাসময়ে বেড়িবাঁধের কাজ শেষ করতে পারবে কিনা তাও নিশ্চিত নয়। বর্ষা শুরু হচ্ছে, এখনও রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা বার আউলিয়া, বানিয়া দিঘীর পাড়, ফকির হাট এলাকায় প্রায় তিন কিলোমিটার জায়গা খোলা রয়েছে। জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। জোয়ারের পানিতে এখনও প্রতিদিন বিস্তীর্ণ এলাকা প্ল­াবিত হচ্ছে। ২৮ বছর অতিক্রান্ত হলেও এলাকাবাসীর সেই স্বপ্নের বেড়িবাঁধ পূর্ণতা লাভ করেনি। বেড়িবাঁধ নির্মাণেও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা জামিরুল ইসলাম জানায়, আনোয়ারা উপকূলীয় এলাকায় আরো কমপক্ষে ২০টি সাইক্লোন সেন্টার প্রয়োজন।
রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানে আলম জানায়, পশ্চিম রায়পুর, সরেঙ্গা ও বানিয়াদিঘীর পাড়সহ বিভিন্ন এলাকায় আরো ১০টি সাইক্লোন সেন্টার প্রয়োজন। এ ইউনিয়নে যেকোন সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যয়ের আশঙ্কা থাকে।
জুঁইদ-ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোর্শেদুর রহমান চৌধুরী খোকা জানান, মৌলভী বাজার থেকে গোদার পাড় পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এলাকায় এখনও বেড়িবাঁধ নির্মিত না হওয়ায় জোয়ারের পানি অবাধে লোকালয়ে আসছে; ফসল, ঘর-বাড়ির ক্ষতি হচ্ছে। জনসংখ্যার তুলনায় সাইক্লোন সেন্টারও কম। আরো কমপক্ষে ৫টি সাইক্লোন সেন্টার প্রয়োজন জুঁইদ-ীতে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট