হাত-পা বেঁধে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম (৩০) র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা গেছেন। গতকাল রবিবার লোহাগাড়া উপজেলার উত্তর আমিরাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। উত্তর আমিরাবাদের আবদুস সোবহানের ছেলে সাইফুল আমিরাবাদের ঘোনাপাড়া এলাকায় ‘সৃজনশীল’ নামে একটি কোচিং সেন্টারের মালিক ও শিক্ষক।
র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের সহকারী পরিচালক এএসপি মো. মাশকুর রহমান বিষয়টি জানিয়েছেন। র্যাবের এই কর্মকর্তার দাবি, ধর্ষক সাইফুলকে গ্রেপ্তারের জন্য গেলে তার সঙ্গে র্যাবের টহল দলের গোলাগুলি হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে সাইফুলের গুলিবিদ্ধ লাশ এবং দুটি অস্ত্র ও ২৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
গত ১২ এপ্রিল ওই কোচিং সেন্টারের ছাত্রী নবম শ্রেণীতে পড়–য়া এক মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে সাইফুলের বিরুদ্ধে। পরে ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মা বাদি হয়ে লোহাগাড়া থানায় সাইফুলকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাইফুল কিছুদিন আগে ওই এলাকায় ‘সৃজনশীল’ নামে একটি কোচিং সেন্টার চালু করেন। এলাকার ছেলে হিসাবে তার অনুরোধে উত্তর আমিরাবাদ এমবি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী, তার বোন ও দুই ভাই সেখানে ভর্তি হয়। মামলার বাদি বলেন, কোচিং সেন্টারে পড়ানোর সুবাদে সাইফুলের সাথে তাদের সুসম্পর্ক হয়। ঘটনার আগের দিন নবম শ্রেনীতে পড়–য়া মেয়েটিকে বাসায় রেখে অন্য সন্তানদের নিয়ে বড় মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছিলাম। ঘটনার দিন সকাল আনুমানিক আটটার দিকে সাইফুল আমাকে ফোন করলে অন্য সন্তানদের নিয়ে বড় মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে আসার কথা বলি। এ সুযোগে ঘরে গিয়ে হাত-পা বেঁধে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। মেয়ের চিৎকারে প্রতিবেশী লোকজন এগিয়ে আসলে সাইফুল পালিয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় প্রতিবেশীরা মেয়েকে উদ্ধার করে প্রথমে লোহাগাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে চমেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়। সেখানে এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর ধর্ষণের শিকার ছাত্রীটিকে বাড়িতে পাঠানো হয়।