চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

জাতীয় কবির ১২০তম জন্মজয়ন্তী উদযাপনে চবি উপাচার্য

নজরুলের সাহিত্য জাতীয় জীবনের অপরিহার্য অঙ্গ

১ জুলাই, ২০১৯ | ২:১৩ পূর্বাহ্ণ

‘বাঁশরী ও তূর্যের জয় হোক’-এ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় বাংলা বিভাগের উদ্যোগে এবং বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সহায়তায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২০তম জন্মজয়ন্তী গতকাল রবিবার চবি ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সেমিনার এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য (রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রফেরস ড. শিরীণ আখতার। উদ্বোধন করেন ইউজিসি’র সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মুস্তাফিজুর রহমান।
প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, প্রেম-দ্রোহ, সাম্য, মৈত্রী ও মানবতার উজ্জ্বল নক্ষত্র আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলা সাহিত্যের এমন কোন শাখা নেই যেখানে এ কবির বিচরণ ছিল না। এই মহান কবি তাঁর সাহিত্যকর্মে মানবতার জয়গান রচনা করেছেন।
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল এর সাহিত্য কর্ম আমাদের জাতীয় জীবনে এক অপরিহার্য অঙ্গ। তাঁর সাহিত্য কর্মের মাধ্যমে তৎকালীন শাসক শ্রেণির শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে গোটা জাতিকে জাগ্রত করেছেন। তিনি এ অসাধারণ মেধাবী কবির সাহিত্য কর্ম ধারণ-লালন ও অধিকতর চর্চার মাধ্যমে তরুণ সমাজকে নিজেদের সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি সারা বিশে^ এই সাহিত্যকর্ম আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২০তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত দিনব্যাপী কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। অনুষ্ঠানে চবি বাংলা বিভাগের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি এবং অতিথিবৃন্দকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
চবি বাংলা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মহীবুল আজিজের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. আনোয়ার সাঈদ। একুশে পদকপ্রাপ্ত গবেষক চবি বাংলা বিভাগের সাবেক প্রফেসর ড. মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের আসানসোল কাজী নজরুল ইসলাম বিশ^বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোনালিসা দাস ও উক্ত বিশ^বিদ্যালয়ের নজরুল সেন্টারের সোশ্যাল এন্ড কালচারাল স্টাডিজের পরিচালক ড. স্বাতী গুহ এবং বিশ^ভারতী বিশ^বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. মানবেন্দ্রনাথ সাহা। এছাড়া আলোচক ছিলেন প্রফেসর ড. নুরুল আমিন ও প্রফেসর ড. লায়লা জামান এবং সাংবাদিক বিশ^জিত চৌধুরী। উপস্থাপনা করেন আবৃত্তি শিল্পী রাশেদ হাসান ও উমে সিং মারমা। সবশেষে বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং নজরুল সঙ্গীত শিল্পী ফাহমিদা রহমানের পরিবেশনায় পরিবেশিত হয় মনোজ্ঞ সঙ্গীতানুষ্ঠান।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট