চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্রে রূপ নিচ্ছে শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্ক

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গুনিয়া

৩০ এপ্রিল, ২০১৯ | ১:৫৪ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্রে রূপ নিচ্ছে রাঙ্গুনিয়ার শেখ রাসেল এভিয়ারি অ্যান্ড ইকো পার্ক। এ সংক্রান্ত ১ শ’ সাড়ে ২৫ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন এখন চলমান। গত ২৭ এপ্রিল বিকেলে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো, শাহাব উদ্দিন ও উপমন্ত্রী হাবিবুন্নাহার। গণপূর্ত অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পার্ক কার্যালয়ে মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীকে দ্বিতীয় পর্যায়ের ১ ’শ সাড়ে ২৫ কোটি টাকার কাজ কিভাবে বাস্তবায়ন হবে এবং কোথায় কি স্থাপনা নির্মাণ করা হবে তা পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে মন্ত্রীকে অবহিত করা হয়। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে দেখানো হয় কিভাবে ধাপে ধাপে এটিকে একটি বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্রে উন্নিত করা হবে।
গত শনিবার বিকেলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ুবিষয়ক মন্ত্রী ও উপমন্ত্রী রাঙ্গুনিয়ার শেখ রাসেল এভিয়ারি এন্ড ইকোপার্ক পরিদর্শনে গেলে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অভিনন্দনন জানান। এসময় মন্ত্রী ও উপমন্ত্রী পার্কের বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখেন। শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্কের রোপওয়েতে চড়ে মন্ত্রী ও উপমন্ত্রী প্রকল্প এলাকা অবলোকন করেন। এভিয়ারি পার্কটির দ্বিতীয় পর্যায়ে উন্নয়নের জন্য গৃহিত ১’শ সাড়ে ২৫ কোটি টাকার প্রকল্পের খোঁজ খবর নেন মন্ত্রী। চলমান দ্বিতীয় পর্যায়ের পকল্পটি বাস্তবায়ন হলে রাঙ্গুনিয়ার শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্ক বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র হবে বলে মন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন। এসময় উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার ও সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন, অতিরিক্ত সচিব মো. মনসুর আলম, প্রধান বন সংরক্ষক সফিউল আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক ড. জগলুল হোসেন, দক্ষিণ বন বিভাগীয় কর্মকর্তা ও এভিয়ারি পার্ক প্রকল্প পরিচালক মোজাম্মেল হক চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা প্রহলাদ চন্দ্র রায়সহ বন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান বন সংরক্ষক সফিউল আলম চৌধুরী বলেন, বরাদ্দকৃত অর্থে পার্ক সম্প্রসারণ, এক কিলোমিটার নতুন রোপওয়ে (ক্যাবল কার) স্থাপন, চিল্ড্রেন কর্নার নির্মাণ, ওয়াচিং টাওয়ার স্থাপন, বার্ড গ্যালারি স্থাপন, লেক নির্মাণ, সীমানা দেয়াল নির্মাণসহ অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে এভিয়ারি পার্ককে আকর্ষণীয় ও বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
দক্ষিণ বন বিভাগীয় কর্মকর্তা ও এভিয়ারি পার্ক প্রকল্প পরিচালক মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জের কোদালা বিটের চন্দ্রঘোনা ও দক্ষিণ নিশ্চিন্তাপুরের প্রায় ৫২০ একর বনভূমি নিয়ে শেখ রাসেল এভিয়ারি অ্যান্ড ইকো পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। এটিকে বিশ্বমানের বিনোদন স্পট হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার ১২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। প্রকল্পের আওতায় চারটি ফেইজে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হবে বলে তিনি জানান। সবুজ পাহাড় ও কৃত্রিম হ্রদের উপর দিয়ে আরো এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ক্যাবল কার যোগ করা হবে। প্রকল্প এলাকায় সীমানা দেয়াল নির্মাণসহ নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।
পরিবেশ মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পাওয়ার পয়েন্টে প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে দেখানো হয় পার্কের বিভিন্ন স্পটে সুবিশাল খাঁচায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, প্রবেশ দ্বারে কৃত্রিম লেকে দেশি-বিদেশি হাঁস ও নানা জাতের জলচর পাখি ও পানকৌড়ির চঞ্চলতা, লেকের মাঝখানে দ্বীপের সাথে সংযোগ সেতুতে যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানা আকর্ষণীয় ইভেন্ট।
পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রহলাদ চন্দ্র রায় বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পিপাসু মানুষের বিনোদনের জন্য শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্ক ইতোমধ্যেই অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে। এখানে পর্যটক ও বিনোদনপ্রেমীদের জন্য বৃক্ষাচ্ছাদিত সবুজ বাগান আকর্ষণীয়ভাবে সাজানো হয়েছে। পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে গড়ে তোলা হয়েছে বসার তোরণ।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট