চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

চিনি ৪৭ টাকা, মসুর ডাল ৪৪

টিসিবি’র রমজানের পণ্য বিক্রি শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ এপ্রিল, ২০১৯ | ২:১৬ পূর্বাহ্ণ

আসন্ন রমজান উপলক্ষে নগরীর বিভিন্ন স্থানে নায্য মূল্যে পণ্য বিক্রয় শুরু করেছে টিসিবি (ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ)। ভ্রাম্যমাণ ১০টি ট্রাক করে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ৩২টি স্থানে এসব বিক্রি করা হচ্ছে। টিবিসির পণ্যের মধ্যে রয়েছে-চিনি, ছোলা, সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও খেজুর। নির্ধারিত স্থানে আগে থেকে চিনি, সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল বিক্রি করা হলেও গতকাল রবিবার থেকে ছোলা বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া, আগামী ২ মে থেকে খেজুর বিক্রি করা হবে। প্রতিটি পণ্যের দাম বাজার মূল্যে থেকে কম হওয়ায় প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান টিসিবি’র চট্টগ্রাম উপ-পরিচালক জামাল উদ্দীন আহমেদ। টিসিবি’র সূত্র যায়, একজন ভোক্তা ৪৭ টাকা কেজি দরে চিনি ক্রয় করতে পারবে, যার বাজার দর হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা। ৪৪ টাকা কেজি দরে মসুর ডাল, যার বাজার দর হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। ১৩৫ টাকা কেজি দরে খেজুর, যার বাজার দর হচ্ছে প্রায় ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা। এছাড়া ৪২৫ টাকায় ৫ লিটার পুষ্টি সয়াবিন তেল ক্রয় করতে পারবে, যার বাজার দর হচ্ছে ৪৮০-৪৯০ টাকা। এছাড়া আগামী ২ মে থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে ছোলা ক্রয় করতে পারবে। তবে একজন ক্রেতা দৈনিক সর্বোচ্চ চার কেজি চিনি, চার কেজি মসুর ডাল, চার কেজি ছোলা, এক কেজি খেজুর ও পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয় করতে পারবে। এ সম্পর্কে টিসিবি’র উপ-পরিচালক জামাল

উদ্দীন আহমেদ বলেন, বর্তমানে নগরীর ৩২টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ১০টি ট্রাকে করে চিনি, মসুর ডাল, ছোলা ও সয়াবিন তেল বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া আগামী ২ মে থেকে খেজুর বিক্রি করা হবে। বাজার দর থেকে টিবিসির পণ্যের দাম কম এবং মান ভালো হওয়ায় বিক্রি ভালো হচ্ছে বলে জানিয়েছে ডিলাররা। নির্ধারিত স্থানে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
তিনি আরো বলেন, একজন ক্রেতা ৪৭ টাকা কেজি দরে সর্ব্বোচ্চ ৪ কেজি চিনি ক্রয় করতে পারবেন। ৪৪ টাকা কেজি দরে সর্ব্বোচ্চ চার কেজি মসুর ডাল ক্রয় করতে পারবে। ১৩৫ টাকা কেজি দরে এক কেজি খেজুর ক্রয় করতে পারবে। ৪২৫ টাকায় ৫ লিটার পুষ্টি সয়াবিন তেল ক্রয় করতে পারবে। এছাড়া, আগামী ২ মে থেকে একজন ক্রেতা ৬০ টাকা কেজি দরে সর্ব্বোচ্চ চার কেজি ছোলা ক্রয় করতে পারবে। যার বাজার মূল্য ৮০ টাকার বেশি।
নগরীর ৩২টি এলাকায় সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এসব পণ্য বিক্রয় করা হয়। এলাকাগুলো হচ্ছে- কোতোয়ালী মোড়, জিপিও মোড় ও ফিরিঙ্গি বাজার এলাকা, আগ্রাবাদ সিজিএস বিল্ডিং ও যাদুঘর এলাকা, মুরাদপুর ও বহদ্দারহাট এলাকা, একেখান, কর্নেলহাট ও অলংকার এলাকা, অক্সিজেন মোড় ও বায়েজিদ এলাকা, পূর্বকোণ অফিস ও ষোল শহর ২ নম্বর গেট এলাকা, ইপিজেড, কাস্টম, বারিক বিল্ডিং এলাকাসহ নির্ধারিত এলাকাগুলোতে নিয়মিত এসব পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট