কক্সবাজারের চকরিয়ায় অবৈধ দখলদারদের হামলায় ২ অভয়ারণ্য বনবিট কর্মকর্তাসহ ৯ বনকর্মী আহত হয়েছেন। বুধবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় আজিজ নগর বন্যপ্রাণি ও হারবাং বণ্যপ্রাণি অভয়ারণ্য বিটের ভিলেজার পাড়ার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ হামলা হয়।

হামলায় আহতরা হলেন; আজিজ নগর অভয়ারণ্য বনবিট কর্মকর্তা আজহার আলী ((৪৫), হারবাং অভয়ারণ্য বনবিট কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ (৪৭), বনকর্মী মো. ইউসুফ (২৯), মানিক চন্দ্র দে (৩৫), নিলিমেশ বৈরাগী (৩৭), কামরুল আলম (৪৫), শওকত উল্লাহ (৪০) ও সিজিপি সদস্য মো. শফি (৬০), মো. করিমদাদ (৫২)।

হামলার খবর পেয়ে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম, চুনতি বিট কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল বনকর্মী ও হারবাং ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহতদের মধ্যে মানিক চন্দ্র দে, কামরুল আলম ও শওকত উল্লাহ’র অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজিজ নগর অভয়ারণ্য বিট কর্মকর্তা আজহার আলী পূর্বকোণকে বলেন, সকাল ১০টার দিকে আজিজ নগর অভয়ারণ্য ও হারবাং অভয়ারণ্য বিটের বিট কর্মকর্তা এবং কর্মীরা নিয়মিত টহলে যায়। দুপুর ১২টার দিকে আমরা উত্তর হারবাং ভিলেজার পাড়ায় পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা আনুমানিক ৩ শত অবৈধ দখলদার দা, লাঠি ও দেশীয় তৈরি বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত আমাদের উপর হামলা চালায়। বনকর্মীরা আত্মরক্ষার্থে ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এসময় দখলদাররা বনকর্মীদের বন্দুকগুলো কেড়ে নিয়ে আমাদের ব্যাপক মারধর করে।

খবর পেয়ে চুনতি ও সাফারি পার্কের বনকর্মী ও হারবাং পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে হামলাকরীরা বন্দুক ফেলে পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা মনজুরুল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বনমন্ত্রীর নির্দেশে বনবিভাগে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে বনকর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে। নিয়মিত টহলে গেলে বন কর্মকর্তা ও বনকর্মীদের এভাবে মারধরের ঘটনা ন্যাক্কারজনক। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

পূর্বকোণ/এন.এইচ-আরআর