চট্টগ্রাম বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

সেবার নামে দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

২ ডিসেম্বর, ২০২০ | ১:১২ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) আইসোলেশন সেন্টার নির্মাণে কেনাকাটায় দুর্নীতির অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। করোনা রোগীদের চিকিৎসায় এ আইসোলেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হলেও সরঞ্জাম ক্রয়ের নামে চলে হরিলুট। চসিকের নিজস্ব তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও এমন চিত্র পাওয়া যায়। এরমধ্যে এসব অনিয়মের বিষয়ে জানতে এনফোর্সমেন্ট পরিচালনা করে দুদক। যার প্রেক্ষিতে দুদকের একটি টিম গতকাল মঙ্গলবার চসিকের  দুই কর্মকর্তাসহ একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদও করে। একই সাথে জব্দ করেছে এ সংক্রান্ত বেশকিছু নথি। দুদক সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

দুদক সূত্র জানায়, করোনার মহামারীতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় রোগীদের চিকিৎসায় আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করা হয়। কিন্তু রোগীদের সেবার নামে তথা আইসোলেশন সেন্টারের বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনাকাটার নামে হরিলুটে নামেন সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে দুদকের হটলাইন নম্বর ১০৬ এ অভিযোগ জমা পড়ে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মো. আবু সাইদ ও উপ-সহকারী পরিচালক এনামুল হকের নেতৃত্বে একটি টিম এনফোর্স পরিচালনা করেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সিটি কর্পোরেশনের গিয়ে এ সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন। একই সাথে আইসোলেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠার সময় কাজে জড়িতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক টিম। দুদক সূত্রে জানা যায়, আইসোলেশন সেন্টারের সরঞ্জাম কেনাকাটায় বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) সালমা বেগম ও যান্ত্রিক বিভাগের প্রধান সুদীপ বসাক সরাসরি জড়িত ছিলেন। এ বিষয়ে তাদের কাছ থেকে কেনা কাটার পদ্ধতি, আয়-ব্যয় হিসেবসহ সংশ্লিষ্ট বিষয় জানতে চাওয়া হয়। একই সাথে স্বাস্থ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

দুদকের সহকারী পরিচালক আবু সাইদ পূর্বকোণকে বলেন, ‘দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। একই সাথে এ বিষয়ে আরও কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে। সবকিছু হাতে পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান শুরু করা হবে।’

উল্লেখ্য গত ২১ জুন নগরের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের সিটি কনভেনশন হলে চসিকের উদ্যোগে চালু করা হয় একটি আইসোলেশন সেন্টার। ৫৫ দিনে ১২০ জন রোগীর জন্য খরচ দেখানো হয়েছে ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এ হিসেবে প্রতি রোগীর পেছনে খরচ হয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা। মূলত কেনাকাটার ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে সিটি কর্পোরেশনের তদন্তে উঠে এসেছে। একেকটি মগ, বেডসিট, অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম কয়েকগুন দামে কেনা হয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট