চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সাতকানিয়ায় আ. লীগে ঘরের শত্রু বিভীষণ, কৌশলে বিএনপি-জামায়াত

সাতকানিয়ায় আ. লীগে ঘরের শত্রু বিভীষণ, কৌশলে বিএনপি-জামায়াত

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৭ নভেম্বর, ২০২০ | ৭:৩৫ অপরাহ্ণ

আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাতকানিয়ার রাজনীতি সরগরম হয়ে ওঠেছে। শুরু হয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তোড়জোড়। দলীয় সমর্থন পেতে ধর্ণা দিচ্ছেন দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে। বিভিন্ন সামাজিক ও দলীয় অনুষ্ঠানে যোগদান করে এবং পোস্টার-ব্যানার সাঁটিয়ে নিজেদের প্রার্থিতা জানান দিচ্ছেন।

এবার আওয়ামী লীগ থেকে চারজন, বিএনপি থেকে দুজন দলীয় সমর্থন পেতে জোরেসোরে মাঠে নেমেছেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হচ্ছেন বর্তমান মেয়র ও দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. জোবায়ের, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক গোলাম ফারুক ডলার, সাতকানিয়া উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদ সভাপতি শফিকুল ইসলাম ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট জহির উদ্দিনের নাম বেশি শোনা যাচ্ছে।

সাবেক মেয়র হাজী মোহাম্মদুর রহমানের নামও উচ্চারিত হচ্ছে। গত পৌর নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগে যোগদান করে আলোচিত হন তিনি। অন্যদিকে, বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আলোচনায় আছেন সাতকানিয়া পৌরসভা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি হাজী রফিকুল আলম ও জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নওয়াব মিয়া। হাজী রফিক গত নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেছিলেন।

বর্তমান মেয়র মো. জোবায়ের বলেন, ‘কর্ম বিবেচনা ও অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করার জন্য আমি এবারও দলীয় মনোনয়ন পাব, এটা আমার দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘গত নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার উপর আস্থা রেখে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি তা অক্ষুণ্ন রেখেছি। তার ফলশ্রুতিতে জনবান্ধব, জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেছি।’

গোলাম ফারুক ডলার বলেন, দল ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করবে। রাজনীতির দুর্দিনে ছিলাম। এই বিবেচনায় দল আমাকে মনোনয়ন দেবে।’

এডভোকেট জহির উদ্দিন বলেন, ছাত্র জীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর গড়া দল আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে ঘনিষ্টভাবে জড়িত রয়েছি। তাই আমি মনোনয়ন পাওয়ার আশা করছি।

হাজি মোহাম্মদুর রহমান বলেন, অতীত ১০ বছরের উন্নয়ন কর্মকান্ডে সন্তুষ্ট হয়ে জনগণ আমাকে নির্বাচন করতে বাধ্য করলে আমি চিন্তা করব।

শফিকুল ইসলাম বলেন, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মূল্যায়নের ঘোষণা দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর, সে বিবেচনায় আমি মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী।

বিএনপি’র মনোনয়নপ্রত্যাশী হাজী রফিকুল আলম বলেন, বিগত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অনেক নির্যাতন সহ্য করে মাঠে ছিলাম। আশা করি, এবারও আমি মনোনয়ন পাব।

নওয়াব মিয়া বলেন, দু’বার পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও দীর্ঘদিন ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে পৌরবাসীর সুখে-দুঃখে ছিলাম। তাই আশা করি মনোনয়ন পেতে আমার কষ্ট হবে না।

জামায়াতের অন্যতম ঘাঁটিখ্যাত এই উপজেলার এখন কৌশল এগুচ্ছে। পৌরসভার প্রার্থী নিয়ে এখন মুখ খুলছে না দলটি। অপরদিকে, সাংগঠনিক কমিটি থাকলেও কার্যক্রম নেই এলডিপি ও জাতীয় পার্টির। অন্যান্য স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে কিছুটা সরব উপস্থিতি থাকলেও পৌরসভা নির্বাচনে অনেকটা নীরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে দলগুলো।

২০০৩ সালে সাড়ে ১২ বর্গকিলোমিটার এলাকা সাতকানিয়া পৌরসভা গঠিত হয়। ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়। বর্তমানে ভোটার সংখ্যা ৩৭ হাজার ৫৪০। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১৯ হাজার ৬২২ ও মহিলা ১৭ হাজার ৯১৮ জন।

প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন সাতকানিয়া প্রতিনিধি সৈয়দ মাহফুজ-উন নবী খোকন ও সুকান্ত বিকাশ ধর।

 

 

 

পূর্বকোণ/পি-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট