চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

হেফাজত নেতা মামুনুল হককে প্রতিহতের ঘোষণা ছাত্রলীগের

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৬ নভেম্বর, ২০২০ | ১০:১১ অপরাহ্ণ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতাকারী হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে চট্টগ্রামে ঢুকতে না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ । আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে ‘জঙ্গিবাদ বিরোধী এক সমাবেশ থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়।

শুক্রবার হাটহাজারীতে এক মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা এবং হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের। সমাবেশ থেকে  মামুনুল হককে প্রতিহতের ঘোষণার  পাশাপাশি তার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

সমাবেশে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, “এই বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শুধু চট্টগ্রামে নয় বাংলাদেশের কোথাও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে কটূক্তিকারী মামুনুল হককে সভা করতে দেয়া হবে না।”

সাবেক ছাত্রনেতা এম আর আজিম বলেন, “এটা মাস্টারদা, প্রীতিলতা, মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী, জহুর আহম্মদ চৌধুরী, এম এ মান্নান, এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর চট্টগ্রাম। এখানে জঙ্গিবাদীর ঠাঁই হবে না।”

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ বলেন, “এরা একাত্তরের পরাজিত শক্তি। এরা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে, ধর্ম চর্চা করে না। চট্টগ্রাম থেকে বার বার অসাম্প্রদায়িকতাকে প্রতিষ্ঠা করার সংগ্রাম হয়েছে। এই চট্টগ্রাম থেকে গোলাম আজমকে প্রতিহত করা হয়েছে। সাঈদীর মাহফিল বন্ধ করা হয়েছে। সবাই মিলে আমরা জঙ্গিবাদীদের প্রতিহত করব।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ বলেন, “স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে মন্তব্য মামুনুল হক করেছে তার নিন্দা জানাই। তাকে ধিক্কার জানাই। তার সমাবেশ চট্টগ্রামের মাটিতে হবে না। ধর্মকে পুঁজি করে তারা সন্ত্রাস নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়।”

নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন, ছাত্রলীগ নেতা আরশেদুল আলম বাচ্চু, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদুল করিম, যুব নেতা শিবু চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ প্রমুখ।

নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঢাকার বিএমএ মিলনায়তনে রাজধানীর ধোলাইরপাড়ে জাতির পিতার ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে তা অবিলম্বে বন্ধের দাবি তোলেন মামুনুল হক। তার ওই বক্তব্যের পর সরকার বা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তেমন কোনো প্রতিবাদ লক্ষ করা যায়নি। এরপর ১৫ নভেম্বর চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম-৯ আসনের সাংসদ মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতাকারীরা ক্ষমা না চাইলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ‘মৌলবাদী গোষ্ঠীকে’ বেশি বাড়াবাড়ি না করতে হুঁশিয়ার করে নওফেল বলেছিলেন, “বেশি বাড়াবাড়ি করলে ঘাড় মটকাতে সময় লাগবে না।”

সমাবেশে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন শাহ, আবুল হোসেন আবু, আরশেদুল আলম বাচ্চু, নুরুল আজম রনি, আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল, সঞ্জয় ভৌমিক কংকন, শিবু প্রসাদ চৌধুরী, আকবর আলি আকাশ, ওসমান গনি আলমগীর, হাবিবুর রহমান তারেক, লিটন মহাজন, আজিজুর রহমান আজিজ, ফরহাদুল ইসলাম রিন্টু, মেজবাহ উদ্দিন মোরশেদ, মুসলেহ উদ্দিন আহমেদ শিবলি, আশিকুন নবী চৌধুরী, আবু সাঈদ সুমন, রাজিব হাসান রাজন, রাজেশ বড়ুয়া, শওকত আলম, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানবীর হোসেন তপু, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম বোরহান উদ্দিন, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হাসান রুমি, মহানগর ছাত্রলীগের সহ -সভাপতি নোমান চৌধুরী, ইয়াছিন আরাফাত কচি প্রমুখ।

পূর্বকোণ / আরআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট