চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

বোয়ালখালী পৌরসভা: প্রার্থীজটে আ. লীগ, নির্ভার বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক 

২৬ নভেম্বর, ২০২০ | ১:৪৯ অপরাহ্ণ

বোয়ালখালী পৌরসভার মেয়াদ ২০১৯ সালের ১৯ জুন শেষ হয়। মামলার কারণে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। নির্বাচন না হলেও মাঠে সরব ছিলেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। পোস্টার-ব্যানার, রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনী আবহ চলে আসছে।

বিএনপির ভোট-ব্যাংক খ্যাত এই পৌরসভায় আ. লীগের মাথাব্যথা হচ্ছে প্রার্থীজট। সেই হিসাবে অনেকটা ফুরফুরে রয়েছেন বিএনপি সমর্থিত বর্তমান মেয়র।  মেয়াদোত্তীর্ণ বোয়ালখালী পৌরসভায় মেয়র ও কাউন্সিলর পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে পোস্টার, ব্যানার সাঁটিয়ে প্রার্থিতা জানান দিচ্ছেন। দলীয় মনোনয়নের আশায় দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। ধর্ণা দিচ্ছেন নেতাদের দ্বারে দ্বারে। মেয়র পদে প্রার্থীতার লড়াইয়ে চার নেতা দীর্ঘদিন ধরে মাঠে প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। উপজেলা আ. লীগের তিন সহ-সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা রেজাউল করিম বাবুল, শফিউল আলম, মনছুর আলম পাপ্পী ও পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক জহুরুল আলম (জহুর)। দীর্ঘদিন ধরে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন সম্ভাব্য এই চার প্রার্থী। তবে মাসখানেক আগে এই প্রার্থীকে এক মঞ্চে দাঁড় করান বোয়ালখালী আসনের সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমদ। পৌর নির্বাচনে একক প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য শপথ করান সম্ভাব্য প্রার্থীদের।

গত নির্বাচনে জহুরুল ইসলাম দলীয় সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে ছিলেন রেজাউল করিম বাবুল। বিএনপির প্রার্থী ছিলেন বর্তমান মেয়র আবুল কালাম আবু। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শওকত আলম। ভোটে এগিয়ে ছিলেন বিএনপির দুই প্রার্থী। তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে ছিলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। তবে এবার কোমর বেঁধে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। বিএনপিও নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সবমিলে এবারও জটিল সমীকরণে রয়েছে বোয়ালখালী পৌর নির্বাচন।

উপজেলা আ. লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম বাবুল বলেন, ‘স্কুলজীবন থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ছাত্রলীগ ও আ. লীগের জন্য অনেক শ্রম ও ত্যাগ স্বীকার করেছি। দল ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করছে। সেই হিসাবে আমিই মনোনয়ন পাবো বলে আশা করছি।’ মনছুর আলম পাপ্পী বলেন, ‘দল মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করবো। দল আমাকে মনোনয়ন দেবে।’ মনোয়নপ্রত্যাশী শফিউল আলম ও জহুরুল আলম জহুরও নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে মনোনয়ন পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

উপজেলা আ. লীগের সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী বলেন, জনপ্রিয়তা বিবেচনা করে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে।

আ. লীগ প্রার্থীজটে সংকটে থাকলেও অনেকটা নির্ভার রয়েছে বিএনপি। পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি বর্তমান মেয়র আবুল কালাম আবু এবার নির্বাচন করবেন তা অনেকটা নিশ্চিত। বিএনপির ছাড়াও সাধারণ ভোটারের কাছে তার কদর রয়েছে। তারপরও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শওকত আলম ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য ইসহাক চৌধুরীর নামও শোনা যাচ্ছে। শওকত গত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

বর্তমান মেয়র আবুল কালাম আবু বলেন, ‘আমি মাঠে আছি। দল আমাকে মনোনয়ন দেবে। আমিই নির্বাচন করবো।’

দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ খান বলেন, ‘যে জয় দিতে পারবে, দল তাকেই মনোনয়ন দেবে। সেক্ষেত্রে বর্তমান মেয়র আবুল কালাম আবু এগিয়ে আছেন।’

উল্লেখ্য, বোয়ালখালী পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ৫২ হাজার ৮৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৭ হাজার ১৩৫ জন, মহিলা ২৫ হাজার ৭০৩ জন। ভোটকেন্দ্র ১৮টি, বুথ সংখ্যা ১৪৫টি।

প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন বোয়ালখালী প্রতিনিধি সেকান্দর আলম বাবর।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট