চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ৬০ সহস্রাধিক আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক 

২৬ নভেম্বর, ২০২০ | ১:০৫ অপরাহ্ণ

সরবরাহ সংকটের কারণে আবেদন করেও চট্টগ্রামে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিমাসে চার হাজারের বেশী লাইসেন্সের আবেদন জমা পড়ছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ’) চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে। গত ১৫ মাসে বিআরটিএ’তে ৬০ হাজারের বেশী আবেদন জমা পড়েছে। বিভাগীয় এ কার্যালয়ে প্রতিদিন চালকরা ভিড় করছেন লাইসেন্স পেতে। তবে আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে আর সমস্যা  থাকবে না, এমনটিই জানিয়েছে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ।

বিআরটিএ’র চট্টগ্রাম বিভাগীয় অফিসের সহকারি পরিচালক তৌহিদুল হোসেন জানান, ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড প্রিন্টিংয়ের বিষয়টি প্রধান কার্যালয় নিয়ন্ত্রণ করে। ২০১৯ সালের  সেপ্টেম্বর  থেকে কোনো কার্ড প্রিন্ট হয়নি। চট্টগ্রাম  মেট্টোপলিটন ও জেলা কার্যালয় মিলে প্রায় ৬০ হাজারের বেশী ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্টিংয়ের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রধান কার্যালয় থেকে ভেন্ডর নিয়োগ হয়েছে। জানুয়ারি থেকে  ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্ট জটিলতার অবসান হতে পারে।

তিনি বলেন, ‘ভেন্ডর জটিলতার কারণে এতদিন ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্ট নিয়ে সমস্যা ছিল। এখন যতুটুু শুনেছি  ভেন্ডর নিয়োগ জটিলতা নিরসন হচ্ছে। শীঘ্রই প্রিন্টিংয়ের অপেক্ষায় থাকা ড্রাইভিং স্মার্ট কার্ডগুলো প্রিন্ট হবে বলে আশা করছি।’ তিনি বলেন, ‘করোনায় শিক্ষানবীশ চালকদের পরীক্ষা বন্ধ ছিল। এতে নতুন লাইসেন্স ইস্যু করতে হয়নি। কিন্তু পুরনো লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে বিশেষ করে বিদেশগামীদের জন্য অতি প্রয়োজনীয় মুহূর্তে আমরা জরুরি সেবা দিচ্ছি। কার্ডের বদলে তাদের অস্থায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করা হচ্ছে।’ তবে নতুন করে স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ২০২১ সালের জানুয়ালি পর্যংন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

বিআরটিএর সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায় ‘ভেন্ডরের সাথে গত ২৯ জুলাই চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। মেশিনারিজ ও প্রয়োজনীয় কার্ড আমদানিসহ প্রিন্টিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে তাদের ১৮ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে নতুন কার্ড প্রিন্টিং শুরু হতে আর মাস দুয়েক সময় লাগতে পারে।’

জানা গেছে, ২০১৬ সালে স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহের জন্য টাইগার আইটি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় বিআরটিএ। ২০২১ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে তাদের ১৫ লাখ কার্ড ছাপানোর চুক্তি হয়। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৯ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত চুক্তির তিন বছরের মধ্যে সাড়ে ১৪ লাখের কাছাকাছি কার্ড ছাপিয়ে বিআরটিএকে সরবরাহ করে। চাহিদার কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই বেশি কার্ড ছাপাতে হয় তাদের। দিন দিন চাহিদা  বেড়ে যাওয়ার কারণে পুরনো ভেন্ডর টাইগার আইটির সাথে জটিলতাও তৈরি হয় বিআরটিএর। এদিকে নতুন স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাপানোর জন্য ২০১৯ সালের শুরু থেকে  ভেন্ডার নিয়োগে  টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করে বিআরটিএ।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট