চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

পটিয়া পৌরসভা: আ. লীগ-বিএনপিতে প্রার্থী জট

হারুনুর রশিদ ছিদ্দিকী, পটিয়া

২৩ নভেম্বর, ২০২০ | ২:৩২ অপরাহ্ণ

পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে অনেক আগেই। নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচনের আভাস পাওয়ার পর প্রার্থীদের তৎপরতাও বেড়ে গেছে। সামাজিক-রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে প্রার্থিতার কথা জানান দিচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। শুধু মেয়র নন, কাউন্সিলর প্রার্থীরা মাঠে সরব হয়ে ওঠেছেন। তবে নৌকার মাঝি কে হচ্ছেন তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই।

আসন্ন পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন নবীন-প্রবীণ একঝাঁক নেতা। বিএনপিতেও একই অবস্থা। ভোটের আগেই প্রার্থী নিয়ে বেকায়দায় রয়েছেন বড় দুই দলের নেতাকর্মীরা। তবে প্রার্থী নিয়ে অনেকটা ঝামেলামুক্ত রয়েছে জাতীয় পার্টি। জাপা’র কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌর মেয়র সামশুল আলম মাস্টার একক প্রার্থী হিসাবে মাঠে রয়েছেন। মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে বড় দুই দলের একাধিক নেতা মাঠে নেমে পড়েছেন। তারা হচ্ছেন, বর্তমান মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশীদ, সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম সওদাগর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আইয়ুব বাবুল, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি আ ম ম টিপু সুলতান চৌধুরী, পৌর আ. লীগ সভাপতি আলমগীর আলম, যুগ্ম সম্পাদক সরওয়ার হায়দার, গত পৌর নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী ও পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ তৌহিদুল আলম, পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী মোহাম্মদ আবু তাহের, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী তরুণ দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কাদের জুলু।

জাপা নেতা সামশুল আলম মাস্টার বলেন, ১৯৯০ সালে পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে একাধিকবার পৌরসভার দায়িত্ব পালন করেছিলাম। এসময় পৌরসভায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি।  বর্তমান মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ বলেন, ১০ বছর ধরে মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডে উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছি। হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি’র সহায়তায় প্রায় ৮০ কোটি টাকার উন্নয়ন করেছি। উপজেলা আ. লীগ সহসভাপতি আইয়ুব বাবুল বলেন, মাঠ পর্যায় থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে দলের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছি এবং করে যাচ্ছি। এসব বিবেচনা করে দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিবেন বলে আশা রাখছি।

যুবলীগ সভাপতি টিপু সুলতান চৌধুরী বলেন, আমার স্বপ্ন পটিয়া পৌরসভাকে একটি আধুনিক মডেল পৌরসভায় রূপান্তর করা। মনে করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মূল্যায়ন করবেন।

পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. আলমগীর আলম বলেন, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও ব্যবসায়ী সংগঠনের  দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।

পৌর আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক সরোয়ার হায়দার বলেন, আসন্ন পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে লড়তে চাই।

সাবেক মেয়র নুরুল ইসলাম বলেন, দলের দুঃসময়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে দুইবার জয়ী হয়েছি। এবারও দল থেকে মনোনয়ন পেলে নির্বাচন করবো।

বিএনপির তৌহিদুল আলম বলেন, গতবার নির্বাচন করে জনগণের ভালোবাসা পেয়েছি। এরপর থেকে সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম। এবারও মনোনয়ন পেলে নির্বাচন করার আশাবাদী।

যুবদল নেতা মো. শাহজাহান চৌধুরী বলেন, আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করতে আগ্রহী।

পটিয়া পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮০০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২০ হাজার ৯০০ জন, মহিলা ১৮ হাজার ৮০০ জন। ভোটকেন্দ্র ১৮টি, বুথ সংখ্যা ১২০টি।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট