চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

পদ্মার পাড়ে হবে ‘পতেঙ্গা বিচ’

ইমরান বিন ছবুর 

১৭ নভেম্বর, ২০২০ | ১:৩২ অপরাহ্ণ

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের আদলে গড়ে তোলা হবে রাজশাহীর পদ্মার পাড়কে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পতেঙ্গা সৈকতের (বিচ) ছবি ও ভিডিও দেখে মুগ্ধ হয়ে এমন আগ্রহ প্রকাশ করেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। এ লক্ষে তিনি আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সভাকক্ষে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করবেন। সেখানে সিডিএ’র পক্ষ থেকে পতেঙ্গা বিচ নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হবে। এরপর রাজশাহীর মেয়র পতেঙ্গা বিচ পরিদর্শনে যাবেন।

পতেঙ্গা থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত রিং রোড প্রকল্পের অংশ হিসেবে পতেঙ্গা বিচকে আধুনিকায়ন করা হয়। গত বছরের প্রথম দিকে বিচের আধুনিকায়নের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর পর্যটকদের ভিড় বাড়তে থাকে। দিন-রাত সমানে আসতে থাকে পর্যটকরা। পদ্মার পাড়ে পতেঙ্গা বিচের আদলে বিচ তৈরির উদ্যোগকে সিডিএ’র জন্য একটি বড় স্বীকৃতি ও অর্জন বলে মন্তব্য করেছেন সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস।

রাজশাহীর মেয়রের পতেঙ্গা বিচ পছন্দের বিষয়টি জানিয়ে সিডিএ’র চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, ইউটিউব বা ফেসবুকে পতেঙ্গা বিচ দেখে পদ্মার পাড়ে পতেঙ্গার মত একটি বিচ করার পরিকল্পনা করেছেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি আজ সিডিএ’র সভাকক্ষে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করে পতেঙ্গা বিচ সম্পর্কে পুরো অবহিত হবেন।

সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, ইউটিউব বা ফেসবুকে পতেঙ্গা বিচের দৃশ্য দেখে খুব পছন্দ করেছেন রাজশাহীর মেয়র। সে কারণে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে রাজশাহী থেকে সরেজমিন দেখতে একটি টিম চট্টগ্রাম আসে। টিমের সদস্যরা সিডিএ’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ফিরে যাওয়ার সময় তারা সিডিএ’র রিং রোড প্রকল্পের সংশ্লিষ্টদের রাজশাহী যাওয়ার দাওয়াত দিয়েছেন। এরপর আমাদের কনসালটেন্ট রাজশাহীর পদ্মার পাড় পরিদর্শন করে আসে।  তিনি আরো জানান, সম্প্রতি রাজশাহীর মেয়র চট্টগ্রামে আসেন এবং পতেঙ্গা বিচ পরিদর্শনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আজ সকালে সিডিএ’র সাথে একটি মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করবেন মেয়র। সভায় পতেঙ্গা বিচ নিয়ে আমরা একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করবো। এরপর তিনি পতেঙ্গা বিচ পরিদর্শনে যাবেন। রাজশাহীর পদ্মার পাড়ে পতেঙ্গা বিচের আদলে বিচ হবে, এটি চট্টগ্রাম তথা সিডিএ’র জন্য একটি বড় পাওয়া।

উল্লেখ্য, জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) ২০০৫ সাল থেকে পতেঙ্গা হতে ফৌজদারহাট পর্যন্ত বেড়িবাঁধ কাম আউটার রিং রোড নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করে। ২০০৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে। দুই বার সংশোধনের পর বর্তমানে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৪২৬ কোটি ১৪ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় পতেঙ্গায় সাগরপাড়ে ৫ কি.মি এলাকাজুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে পর্যটনকেন্দ্র। পতেঙ্গাকাকে ঘিরে সিডিএ’র আরো বেশ কিছু প্ল্যান রয়েছে বলে জানা যায়।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট