চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

দোকান সরেনি, বন্ধ হয়নি ব্যবসা

নিজস্ব প্রতিবেদক 

১৩ নভেম্বর, ২০২০ | ২:৫৪ অপরাহ্ণ

ফয়’স লেক এমিউজমেন্ট পার্ক ও চিড়িয়াখানায় যাওয়ার সড়কের দুই পাশের ফুটপাতের ওপর বসানো দোকানগুলো এখনো রয়ে গেছে। কফি সপ আর গেস্ট হাউসের নামে চলা অবৈধ ব্যবসাও বন্ধ হয়নি। এর ফলে দুই পর্যটন স্পটে আসা মানুষ ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হলেও পুলিশ আছে নির্বিকার।

স্থানীয় মানুষ আর পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সড়কের পশ্চিম পাশটা পড়েছে আকবর শাহ থানার অধীনে, আর পূর্ব পাশটা খুলশী থানার। ফুটপাতের ওপর বেশিরভাগ দোকান বসেছে পূর্ব পাশে। এসব দোকানের কারণে মানুষজনের হাঁটাচলায় সমস্যা হচ্ছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত দাম নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে দোকানিদের বিরুদ্ধে। একই পাশে রয়েছে গেস্ট হাউস ও হোটেল। সেগুলোতে দিনভর তরুণ-তরুণীদের ভিড় লেগে থাকে। ঘণ্টা মাফিক ভাড়া দেওয়া হয় এসব হোটেল আর গেস্ট হাউস। তার বিপরীতে ১ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়। কপিশপগুলোর অবস্থান পশ্চিম পাশে। সেগুলোতে পর্দা দিয়ে ছোট ছোট কক্ষ বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পর্দার ওপরে লেখা-‘মহিলা কেবিন খালি আছে’। সামনে দিয়ে কোনো তরুণ-তরুণী হেঁটে যেতেই কফি সপের কর্মীরা তাঁদের সেখানে প্রবেশ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে থাকেন। এতে এলাকার স্কুল-কলেজ পড়–য়া তরুণীরা ও পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা অনেকেই বিব্রত হন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ফুটপাতের দোকান ও অবৈধ ব্যবসা করা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করলে এক থানা আরেক থানার কথা বলে। ঠিক যেন কলকাতার পুরস্কারজয়ী ‘প্রলয়’ ছবির গল্পের মতো। সেই ছবিতে অপরাধীদের ধরতে অনিচ্ছুক পুলিশ ভুক্তভোগীদের তাড়িয়ে দিতেন নিজের থানা এলাকায় পড়েনি জানিয়ে। এখানের গল্পও যেন তেমন। কারণ, এসব অবৈধ দোকানগুলোর ব্যবসা চালানোর পেছনে পুলিশের পাশাপাশি ছাত্রলীগ নামধারী কয়েকজনের সুবিধা পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তাই বছরের পর বছর ধরে একই অবস্থা চলে আসছে।

প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়লেও বিপদে পড়ার ভয়ে এলাকার কেউ সরাসরি মুখ খোলেন না। তবে পর্যটকেরা এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছেন।

প্রায় ২০ দিন আগে পূর্বকোণের সঙ্গে আলাপকালে ফুটপাতের দোকানগুলো তুলে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর রহমান। পাশাপাশি গেস্ট হাউস আর হোটেলগুলোতেও অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে তখন জানিয়েছিলেন তিনি। গতকাল (বৃহস্পতিবার) যোগাযোগ করা হলে ঠিক একই কথা বলেন ওসি। তবে আকবর শাহ থানার ওসি জহির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তিনি ফোন ধরেননি।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট