চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

এবার দেরিতে শীতের পোশাক

মরিয়ম জাহান মুন্নী 

৭ নভেম্বর, ২০২০ | ১:২৭ অপরাহ্ণ

প্রকৃতিতে শীতের আবহ শুরু হওয়ার সাথে সাথে বাহারি শীতকালীন পোশাকে সেজেছে নগরীর শপিংমলসহ ফুটপাত। এরমধ্যে আমদানিকারকরাও দেশের বাজারে বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন পোশাক আমদানি করছেন। তবে করোনাভাইরাসের কারণে এবারের শীতের পোশাক দেশে আসতে বিলম্ব হয়েছে। প্রতিবছর শীত শুরুর দুই মাস আগেই আমদানি করা হয় শীতের পোশাক। এবছর একটু সময় লাগলেও চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে বাজারে এসেছে এসব পোশাক। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে আরো প্রচুর পোশাক অপেক্ষমাণ রয়েছে বলে জানান আমদানিকারকরা। চট্টগ্রাম পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও আমদানিকারক আবুল কালাম বলেন, বাংলাদেশে ৯০ শতাংশ পোশাক দেশের বাইরে থেকে আসে। বাকি ১০ শতাংশ দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো মেটায়। শীতের কাপড় আমদানির জন্য বাংলাদেশে ৫ হাজার লাইসেন্স দেয়া হয়। এই ৫ হাজার লাইসেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন রাষ্ট্র থেকে ২৫ কোটি টাকা মূল্যের পোশাক দেশীয় বাজারে আসে। প্রতিবছর বাংলাদেশে শীতে ৫শ’-৬শ’ কন্টেইনার পোশাক আমদানি হয়।

আমির মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বলেন, বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পোশাকগুলো মূলত পুরাতন। সেই পোশাকগুলো ড্রাইওয়াশ করে বাংলাদেশে নিয়ে আসে ব্যবসায়ীরা। পরবর্তীতে বন্দরে খালাস হওয়ার পরে আমাদের হাত থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীদের হাতে যায়।  অপর এক ব্যবসায়ী বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর ফুটপাতে প্রায় ১০ হাজার জন শীতকালীন পোশাক বিক্রেতা রয়েছে। নগরীর খাতুনগঞ্জ আমির মার্কেট থেকে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি হয় পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে। সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়, সড়কের পাশে ভ্যানে করে নানারকম শীতকালীন পোশাক বিক্রি করছে হকাররা। জহুর হকার্স মার্কেট ঘুরে দেখা যায় নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের শীতকালীন পোশাকের চাহিদা মেটাতে প্রায় সবগুলো দোকান সেজে উঠেছে। বড়দের পাশাপাশি ছোটদের বাহারি ডিজাইনের সোয়েটার, জ্যাকেট, গেঞ্জি, ব্লেজার, পাওয়া যাচ্ছে। মেয়েদের জন্য আছে শীতকালীন আধুনিক পোশাক। এছাড়া ছেলেদের জন্যও আছে নানারকম নতুন ডিজাইনের শীতকালীন পোশাক। অন্যান্য বছরের মত জিন্সের জ্যাকেট, মোটা উলের গেঞ্জি, নকশার কার্ডিগান,  কোমর বন্ধনি, ব্লেজার ও কোর্ট। এ পোশাকগুলো ৮শ’ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।  জহুর মার্কেটের আলিঙ্গন ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, শীতের এ দুইমাস শুধু শীতকালীন পোশাকই বিক্রি করি। মূলত শীতকাল ও ঈদ ব্যবসায়ীদের জন্য বড় মৌসুম। এসময় বেচাকেনা ভাল হয়। আমাদের কাছ থেকে দোকানিরা পাইকারি দামে শহরের বিভিন্ন মার্কেটে পোশাক নিয়ে বিক্রি করে। এখানে ৮শ’ টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকার পোশাকও আছে। মানের দিক থেকেও উন্নত। সব বয়সের মানুষের পোশাক পাওয়া যায়।

চকবাজার মতি টাওয়ার’র নাবিলা ফ্যাশন’র স্বত্বাধিকারী মো. কামাল বলেন, সামনে শীত আসছে। তাই দোকানে শীতকালীন পোশাক তুলেছি। আধুনিক এ পোশাকগুলো আমরা মূলত রাজধানীর গাউছিয়া মার্কেট, নিউমার্কেট, মৌচাক, মালিবাগ, ফার্মগেট, মিরপুর, গাবতলী, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ি থেকে সংগ্রহ করি।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট