চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

বীর মুক্তিযোদ্ধা শিল্পপতি আখতারুজ্জামান বাবুর ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

৪ নভেম্বর, ২০২০ | ১:০৯ অপরাহ্ণ

আজ বুধবার বীর মুক্তিযোদ্ধা বরেণ্য শিল্পপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর মৃত্যুবার্ষিকী। বেসরকারি ব্যাংকিং জগতের এই সফল পুরুষ ভালবাসা অর্জন করেছিলেন রাজনৈতিক দল-মত নির্বিশেষে সকলের। আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গায় অবস্থান দৃঢ় করেছেন মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের মাঝে। ২০১২ সালের ৪ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বরেণ্য এই নেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে আনোয়ারা-কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী-অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে আজ বুধবার সকাল থেকে কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ, শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা, খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি উপস্থিত থাকবেন। কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার মৃত্যুবার্ষিকীর দিন বড় কোন আয়োজন করা হয়নি। তবে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা ও খতমে কোরআন মাহফিলের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করা হবে।

১৯৪৫ সালে আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আখতারুজ্জামান চৌধুরী। তার পিতা নুরুজ্জামান চৌধুরী ছিলেন একজন আইনজীবী। স্বাধীনতার পূর্বে বাটালি রোডে রয়েল ইন্ডাস্ট্রি নামে একটি কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু। পরবর্তীতে আসিফ স্টিল মিল, জাভেদ স্টিল মিল, আসিফ সিনথেটিক, প্যান আম বনস্পতি, আফরোজা অয়েল মিল, বেঙ্গল সিনথেটিক প্রোডাক্ট ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। ভ্যানগার্ড স্টিল মিল, সিনথেটিক রেজিন প্রোডাক্ট ক্রয় করে স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে জামান শিল্পগোষ্ঠীর গোড়াপত্তন করেন। তিনি বিদেশি মালিকানাধীন আরামিট মিল কিনে নেন। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের (ইউসিবিএল) উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান তিনি। দু’দফায় চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রেসিডেন্ট ও ১৯৮৮ সালে এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট ছিলেন আখতারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি ওআইসিভুক্ত দেশসমূহের চেম্বারের প্রেসিডেন্ট এবং ১৯৮৯ সালে ৭৭ জাতি গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি আনোয়ারা ও পশ্চিম পটিয়া থেকে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য হন। ১৯৭১ এর  মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি। স্বাধীনতার পর ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ২০০৮ সালে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। স্বাধীনতার পর তিনি দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।

ব্যক্তি জীবনে আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ৩ পুত্র ও ৩ কন্যার জনক। বড় ছেলে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বর্তমানে আনোয়ারা-কর্ণফুলী আসনের এমপি। মেজ ছেলে আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) ইসি চেয়ারম্যান। ছোট ছেলে আসিফুজ্জামান চৌধুরী জিমি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। ২০১২ সালের ৪ নভেম্বর এই মহান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও দানবীর সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট