চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

লামায় ‘মেরাখোলা হরি মন্দিরে’ দুর্ধর্ষ চুরি

লামা প্রতিনিধি

৩১ অক্টোবর, ২০২০ | ১:০০ অপরাহ্ণ

বান্দরবানের লামায় ‘মেরাখোলা হরি মন্দিরে’ শুক্রবার (৩০ অক্টোবর)দিবাগত রাতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে।
মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. বিশ্ব নাথ দে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সকালে মন্দিরের সেবক শেফালি বসাক মন্দির পরিষ্কার করতে আসলে বিষয়টি নজরে আসে। সে সাথে সাথে বিষয়টি আমাদের সকলকে জানায়। আমরা চুরির বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন ও লামা থানা পুলিশকে অবহিত করি।

মন্দির কমিটির সভাপতি সাধন সেন বলেন, ‘চোররা মন্দিরের উত্তর পাশের দেয়াল টপকে প্রবেশ করে মন্দিরের মূল ফটকের তালা ভেঙ্গে থেকে ২টি দান বাক্স, ১টি ছোট স্বর্ণের মূর্তি (আনুমানিক ৪/৫ ভরি), ৩টি পিতলের মূর্তি (রাধা-গোবিন্দ মূর্তি), নারায়ণ মূর্তির গলার চেইন (দেড় ভরি), কানের দুল ১ জোড়া (৮ আনা), হাতের চুড়ি ১ জোড়া (১২ আনা) ও মন্দিরের ব্যবহৃত পিতলের জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে গেছে। গতরাতে আমরা লক্ষ্মীপূজা শেষে মন্দির কমিটি রাত ১১টায় মন্দির হতে যাই। রাতের কোন এক সময় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আমরা লামা থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। সবচেয়ে দুঃখের কথা হচ্ছে চোররা নারায়ণ মূর্তির অলংকার খুলে নেয়ার সময় মূর্তির গায়ে ও পূজার আসনে জুতা দিয়ে উঠে ধর্মীয় অবমাননা করেছে। যা আমাদের সনাতনী সামজের লোকজনের হৃদয়ে আঘাত করেছে।

মন্দিরের সেবক শেফালী বসাক বলেন, এই মন্দিরে কখনো চুরি হয়নি। এই প্রথম চুরির ঘটনা ঘটেছে। রাত ১০টায় আমরা লক্ষ্মী পূজা শেষ করে বাড়ি চলে গিয়েছিলাম। রাতে মন্দিরে কেউ থাকে না।

মন্দিরের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা রূপন কান্তি নাথ বলেন, রাত ২টা ৩০ মিনিটের সময় আমি মন্দিরের দিক থেকে একটি শব্দ শুনতে পাই। শুনে আমি ঘর থেকে বেরিয়ে আসি। এসে দেখি মন্দিরের বাহিরের গেইটের তালা ঠিক আছে। আমি শব্দটাকে গুরুত্ব না দিয়ে আবার গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে চুরির বিষয়টা জানতে পারি।

ঘটনা শুনার পরপরই শনিবার বেলা ১১টায় লামা থানা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলমগীর সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় পুলিশ চুরির আলামত ও চুরির বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন।
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলমগীর বলেন, আমরা গুরুত্বের সাথে বিষয়টি তদন্ত করছি। সকল আলামত ও তথ্য মাথায় নিয়ে চুরির ঘটনা উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।

লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, মন্দিরে চুরির ঘটনাটি কে বা কারা করেছে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে আমার থানার পুরো টিম কাজ করছে।

এদিকে মন্দির চুরির ঘটনা জানাজানি হলে লামা-আলীকদম সেনা জোনের একটি সেনা টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট