চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সেই নাইটকোচ ও পথে নেমে যাওয়া যাত্রীকে খুঁজছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ অক্টোবর, ২০২০ | ৪:২৭ অপরাহ্ণ

২৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ৩টা। সীতাকুণ্ডের শীতলপুর বগুলা বাজারে এক লোককে মারধর করার পর নাইটকোচে তুলে দেয়া হয়। বগুলা বাজারের অদূরে নাইককোচ থেকে ৪০ থেকে ৪৫ বছর বয়সী মাথায় টুপি দেয়া দাঁড়িওয়ালা এক লোক নেমে যায়। 

২৪ সেপ্টেম্বর সকাল পৌনে ৯টার দিকে ডবলমুরিং থানার কদমতলী ফ্লাইওভারের নিচ থেকে অজ্ঞাতনামা এক লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত ব্যক্তির জন্মসনদ ও সাদা কাগজে লেখা মোবাইল নম্বর পেয়ে মৃত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করে। মৃত ব্যক্তি নুরুল আলম (২২) কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার হ্নীলা ইউপির কালা মিয়ার ছেলে।

ওইদিন মৃত নুরুল আলমের মা দিলোয়ারা বেগম ডবলমুরিং থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

এরপর মামলাটি পিবিআইতে হাস্তান্তর করা হলে পিবিআই এটি তদন্ত শুরু করে। পিবিআই তথ্যপ্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্সের সহায়তা ২৭ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ১২টার দিকে সীতাকুণ্ড থানার শীতলপুর বাজার থেকে মো. রিয়াদ হোসেন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেন। এসময় তার কাছ থেকে ১টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মোবাইলটি মৃত নুরুল আলমের বলে সে স্বীকার করে।

তার দেয়া তথ্যমতে ২৮ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটার সময় মো. ফারুক নামে আরো একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফারুকও ওই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে এবং জড়িত ব্যক্তির নাম প্রকাশ করে। তাদের দেয়া তথ্য মতে ২৯ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টার দিকে সীতাকুণ্ড থানার শীতলপুর বাজার এলাকা থেকে মো. খোকনকে (২৭) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ৩০ সেপ্টেম্বর খোকন আদালতে মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। কিন্তু তিনজন আসামি তাদের মারধরে নুরুল আলমের হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করে।

এ রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ ওইদিন নাইটকোচ থেকে নেমে যাওয়া লোক এবং নাইটকোচের সন্ধান করছে। ওই নাইটকোচে কোন যাত্রীর অথবা এ বিষয়ে অবগত কোন ব্যক্তির যদি এই বিষয়ে কোন তথ্য থাকে ০১৭১৭-২৭৫৩৬৩ এই নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য পিবিআই চট্টগ্রামের জনসংযোগ কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা জানান।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট