চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

অনিশ্চিত দোহাজারী পৌর ও সাতবাড়িয়া ইউপি নির্বাচন

মো. দেলোয়ার হোসেন, চন্দনাইশ

২৮ অক্টোবর, ২০২০ | ২:২৬ অপরাহ্ণ

চন্দনাইশে আসন্ন পৌর ও ইউপি নির্বাচনে দোহাজারী পৌরসভা ও সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
দোহাজারীকে পৌরসভা গঠনের লক্ষ্যে সীমানা নির্ধারণ জটিলতা, হাছনদণ্ডী এলাকার জনৈক বাসিন্দা হাইকোর্টে দায়ের করা রিট পিটিশন মামলা ও সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডকে দোহাজারী পৌরসভার সাথে অন্তর্ভুক্ত করার জটিলতায় নির্বাচন অনিশ্চত হয়ে পড়েছে।

জানা যায়, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় বিভাগ ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর চন্দনাইশ উপজেলাধীন দোহাজারী পৌরসভা গঠনের লক্ষ্যে উপজেলার দোহাজারী, জামিজুরী, চাগাচর ও সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ নং ও ৯ নং ওয়ার্ডকে নিয়ে শহর এলাকা ঘোষণার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। এ প্রজ্ঞাপন জারির অনুর্ধ্ব একমাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে লিখিত আপত্তি উত্থাপন করতে পারবেন বলে নির্দেশ প্রদান করা হয়। উল্লেখিত এলাকাসমূহকে শহর এলাকা ঘোষণা করে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সহকারী সচিব এ.কেএম আনিছুজ্জামান প্রজ্ঞাপন জারি করেন।

এ কারণে গত ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে দোহাজারী পৌর ও সাতবাড়িয়া ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। তখন থেকে দোহাজারী পৌরসভায় দায়িত্ব পালন করে আসছেন পদাধিকার বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। একইভাবে সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ায় ভোটবিহীন ২য় বার তথা ১০ বছর ধরে চেয়ারম্যান পদে বহাল তবিয়তে রয়েছেন আহমুদুর রহমান ভেট্টা। ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে এলাকার সাধারণ ভোটাররা।

উল্লেখ্য, দোহাজারীকে পৌরসভার প্রজ্ঞাপন জারির পর সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডকে দোহাজারী পৌরসভায় অন্তর্ভুক্ত করার বিরুদ্ধে সাতবাড়িয়া এলাকার মো. ওমর ফারুক বাদি হয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন।

উক্ত রিট পিটিশনের অনুলিপি প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসার, চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার বরাবর প্রেরণ করেন। এই প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রিট পিটিশন চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত দোহাজারী পৌর ও সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের নির্বাচন এখনো পর্যন্ত বন্ধ হয়ে আছে। এদিকে রিট পিটিশন দাখিল হওয়ার ৫ বছর অতিবাহিত হলেও প্রতিপক্ষ তথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জবাব দাখিল করেননি বলে জানা যায়। হাইকোর্ট বিভাগ লিখিত জবাব দাখিলের জন্য একাধিকবার তাগাদা দিলেও পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি প্রতিপক্ষগণ। এতে দোহাজারী পৌরসভা ও সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের নির্বাচন অধরা রয়ে গেল।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, লিখিত জবাব দেয়ার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেও নানা প্রতিকূলতার কারণে দেয়া সম্ভব হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ দোহাজারী পৌরসভায় নির্বাচন না দিয়ে প্রশাসকের দায়িত্ব পালনের জন্য বিগত সময়ে কয়েকজন নির্বাহী কর্মকর্তা রিট পিটিশনের জবাব দেননি। এমনকি সহায়ক সদস্যদের তালিকা পর্যন্ত অনুমোদন করেননি, জবাবদিহিতা না করার অযুহাতে। স্থানীয় সচেতন মহল জরুরিভাবে দোহাজারী পৌরসভা ও সাতবাড়িয়া ইউপি নির্বাচন করার লক্ষে হাইকোর্টে দায়েরকৃত রিট পিটিশনের জবাব দাখিলের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অন্যথায় দুই এলাকায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারা ব্যাহত হবে বলে দাবি করেছেন।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট