চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

ই-পেমেন্ট ও ই-অকশন পুরোদমে চালু হলে কারচুপি অনেক কমে যাবে

কার্যক্রম উদ্বোধনকালে মাসুদ সাদিক

ই-পেমেন্ট ও ই-অকশন পুরোদমে চালু হলে কারচুপি অনেক কমে যাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ অক্টোবর, ২০২০ | ১২:২২ পূর্বাহ্ণ

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (মূসক নীতি) মো. মাসুদ সাদিক বলেছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০১৭ সালে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রমের শুল্ককরসহ বিভিন্ন ফি পরিশোধের জন্য ই-পেমেন্ট সিস্টেম চালু করে। কিন্তু সেটি খুব একটা আলোর মুখ দেখেনি। বাধ্যতামূলক না করাতেই আমদানি-রপ্তানিকারকেরা মেন্যুয়াল পেমেন্টেই রাজস্ব জমা দিয়ে থাকে। কারণ অনেকে অভিনব কায়দায় মেন্যুয়াল পদ্ধতিতে রাজস্ব জমা দিতে কারচুপি করার সুযোগ পায়। মূলত প্রতারণা করতেই ই-পেমেন্টের ব্যবহার কম হয়।

মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ই-পেমেন্ট সম্পর্কিত সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ ও ই-অকশন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, অতীতে দেখেছি ট্রেজারি চালান জাল করে পণ্য খালাস করা হয়েছে। জালিয়াতচক্র অতীতে ছিল, বর্তমানে আছে হয়তো ভবিষ্যতেও থাকবে। জালিয়াতির উদ্দেশ্যে তারা নিত্যনতুন পদ্ধতিও বের করে। তবে ই-পেমেন্ট ও ই-অকশন পুরোদমে চালু হয়ে গেলে এসব কারচুপি অনেকাংশেই কমে যাবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার ড. আবু নূর রাশেদ আহমেদ, যুগ্ম কমিশনার মো. তাফছির উদ্দিন ভূঞা, মুহাম্মদ মাহবুব হাসান, মোহাম্মদ তোফায়েল আহমেদ, মোহাম্মদ বাপ্পী শাহরিয়ার, কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার ফয়সাল বিন রহমানসহ কাস্টম হাউসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম আকতার হোসেন, শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের পরিচালক আবদুল্লাহ জহির, বিজিএমইএর পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, ফ্রেইট ফরোওয়ার্ডার্স এসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন, বিকেএমইএর শওকত ওসমানসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার ও বাণিজ্য সংগঠনের প্রতিনিধিরা ।

ব্যবসায়ীদের অসন্তোষ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কাস্টমস ব্যবসাবান্ধব। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কাস্টমসের যে নিবিড় সম্পর্ক সরকারের অন্য কোনো বিভাগের সঙ্গে আছে কিনা আমার সন্দেহ। তাছাড়া কাস্টমস কর্মকর্তদের কাজের দক্ষতা বাড়ায় অসম্পন্ন থাকছে না কোন কাজ।

প্রথম ই-অকশনে ১৬টি লটে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি হবে। সর্বমোট প্রায় ৫৪৪টন পণ্য নিলামে বিক্রি হবে।

ই-অকশন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফ্রেইট ফরোওয়ার্ডার্স এসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন পূর্বকোণকে বলেন, ই-অকশন কাস্টমসের একটি আধুনিক সংযোজন। তবে আমাদের অনুরোধ থাকবে যাতে দ্রুত অকশন কার্যক্রম শেষ হয়। কারণ যতদিন অকশন এর মাধ্যমে জব্দ করা পণ্য বিক্রি না হবে ততদিন ব্যবসায়ীদের কন্টেইনার আটকা পরে থাকে। এতে হাজার হাজার ডলার লোকসান দিতে হয়।

 

 

 

 

পূর্বকোণ/পি-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট