চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

লালখান বাজারে ‘স্কুলের দোহাই’ দিয়ে নালার উপর দোকান

বৈধতা দিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দোহাই দিয়ে ৫টি দোকান নির্মাণ

লালখান বাজারে ‘স্কুলের দোহাই’ দিয়ে নালার উপর দোকান

প্রথমে কিছু টাকা বিদ্যালয়ে দেওয়া হলেও পরবর্তীতে আর দেয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৬ অক্টোবর, ২০২০ | ৫:১৪ অপরাহ্ণ

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ‘দোহাই দিয়ে’ নগরীর লালখান বাজার মতিঝর্ণা এলাকায় নালার উপর পাঁচটি দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। দোকানগুলোকে ‘বৈধ ঘোষণা’ করতে দোকানের ভাড়ার একটি অংশ কিছুদিন লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেয়া হত। তবে নির্মাণের কয়েক মাস পর থেকে দোকান ভাড়া বাবদ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আর কোন অর্থ পায়নি বলে জানা যায়।

নগরীর লালখান বাজার এলাকার সাবেক কাউন্সিলর আবুল ফজল কবির আহমদ মানিক ৭-৮ বছর আগে এই দোকানগুলো নির্মাণ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে তার শিষ্যরা নিয়মিত দোকানের ভাড়া আদায় করেন। দোকানগুলো নির্মাণের সময়ে এফ আই মানিক লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ছিলেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন আবুল ফজল কবির আহমদ মানিক।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি মাহমুদ ইমাম বিলু জানান, আমি স্কুলের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছি প্রায় পাঁচ বছর হবে। এর আগে বিভিন্ন মেয়াদে স্কুলের সদস্যসহ বিভিন্ন পদে ছিলাম। তবে এরমধ্যে দোকানগুলো থেকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন ভাড়া পেয়েছে বলে আমার জানা নেই। অনেককেই বলতে শুনেছি, দোকানগুলো নাকি বিদ্যালয়ের জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে এটার মূল ঘটনা আমার জানা নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, দোকানগুলো নির্মাণ করার সময় বিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। তৎকালীন বিদ্যালয়ের সভাপতি আবুল ফজল কবির আহমদ মানিক দোকানগুলো নির্মাণ করেছে। প্রথম কয়েক মাস দোকান ভাড়ার কিছু অর্থ বিদ্যালয়ে দেয়া হত। ওই সময়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি হওয়ায় কিছু খ-কালীন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। ওই শিক্ষকদের বেতন এসব দোকানের ভাড়া থেকে দেয়া হত। দোকান নির্মাণের প্রথম কয়েক মাস ভাড়ার কিছু অর্থ স্কুলে দিলেও পরবর্তীতে আর দেয়নি।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে সাবেক কাউন্সিলর আবুল ফজল কবির আহমদ মানিক জানান, এ কাজের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। এটার সাথে আমাকে কেন জড়ানো হচ্ছে সেটাও আমি জানি না। আমি এই দোকানের সাথে সম্পৃক্ত বলা হচ্ছে, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

স্থানীয় মহসিন নামের এক যুবক দোকানের ভাড়া তুলে বলে জানা যায়। তবে এ ব্যাপারে মহসিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভাড়া তোলার বিষয় অস্বীকার করে বলেন, আমি কেন দোকানের ভাড়া তুলবো? এছাড়া, দোকানের ভাড়া কে তুলে, সে ব্যাপারেও আমি কিছু জানি না।

 

 

 

 

পূর্বকোণ/পি-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট