চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সীতাকুণ্ডে অপহরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুবক উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

সীতাকুণ্ড সংবাদদাতা

২৩ অক্টোবর, ২০২০ | ১১:২৯ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মোটর সাইকেল বিক্রি করতে এসে অপহরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এক যুবককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। একইসাথে অপহরণকারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী যুবক বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ডের রনক বড়ুয়া নামক এক ভুয়া আইডির সত্ত্বাধিকারীর সাথে রাউজান পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ছত্রপাড়া গ্রামের নেজাম উদ্দিনের (২৬) জেঠাত ভাই সুজন বাদশার সাথে আনুমানিক এক মাস আগে ফেসবুকে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক হলে ফোনে কথাবার্তাও চলত। এভাবে একপর্যায়ে রনক বড়ুয়া আইডির মালিক কামরুল হোসেন রাউজানের সুজনের কাছে তার ভাই নেজামের মোটর সাইকেলটি বিক্রির প্রস্তাব দেয়। এতে সুজন ও নেজাম মোটর সাইকেল বিক্রিতে সম্মত হলে গত বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) বিকাল আনুমানিক ৩টায় সুজন বাদশা ও নেজাম মোটর সাইকেল নিয়ে সীতাকুণ্ড পৌরসদরের নামার বাজার বাসস্ট্যান্ডে এসে দাঁড়ায়। সেখানে অপেক্ষমান কামরুল হোসেনসহ (২৪) কিছু দুষ্কৃতিকারী মোটর সাইকেলটি চালিয়ে দেখার কথা বলে তাদের হাতে নেয়। এ সময় কামরুল মোটর সাইকেলে বসলে নেজাম গাড়ির পেছনে উঠে বসে। পরে কামরুল ঘুরতে ঘুরতে তাকে নামার বাজার ব্রিজের নিচে নিয়ে কৌশলে একটি সিএনজি অটোরিক্সায় তুলে নিয়ে সাগর পাড়ের দিকে নিয়ে যায়। এ সময় আরো কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী তাদের সাথে যোগ দেয়।

পরে তারা নেজামের ফোন কেড়ে নিয়ে তা থেকে তার বন্ধু ও স্বজনদের কাছে ফোন করে জানায়, তাকে অপহরণ করা হয়েছে। তাদের মোবাইল নম্বরে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ না দিলে তাকে হত্যা করা হবে। এসব কথা বলায় নেজামের এক বন্ধু আলাউদ্দিন অপহরণকারীদের ৪ হাজার টাকাও দেয়। কিন্তু তাদের আরো টাকা লাগবে বলে চাপাচাপি শুরু করে সারারাত নেজামকে মারধর করে দুষ্কৃতিরা। এতে নেজাম জেঠাত ভাই সুজনকে ফোন করে জরুরি ভিত্তিতে ৫০ হাজার টাকার ব্যবস্থা করতে বলেন। সব শুনে শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে জেঠাত ভাই সুজন সীতাকুণ্ড থানায় এসে উক্ত অপহরণের ঘটনা বর্ণনা করলে পুলিশ উক্ত বিকাশ নম্বরের সূত্রধরে অপহরণকারীদের নম্বর ট্রেকিং করে সৈয়দপুর ইউনিয়নের ব্রিকফিল্ড নামক এলাকার একটি ঘর থেকে অপহৃত নেজামকে উদ্ধার এবং কামরুল হোসেন নামক অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনার পর কামরুল পুলিশের কাছে অন্যান্য আসামিদের নামও প্রকাশ করলে শুক্রবার সন্ধায় নেজাম বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে অপহরণকাণ্ডে জড়িত হিসেবে কামরুল ছাড়াও মো. আনোয়ার (৩০), আলাউদ্দিন (৩০), মো. ইমন (২৮), তাজুল ইসলাম কাজল (২৮), রাশেদ (২৬), মো. ইমাম (২৫) ও মো. ইমরানসহ (২২) অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করা হয়।

সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বণিক জানান, কামরুল হোসেন নামক অপহরণকারী রনক বড়ুয়া নাম দিয়ে আইডি খুলে অপহরণের ফাঁদ পেঁতেছিল। তারা কিছুদিন আগেও একটি অপহরণের ঘটনা ঘটায়। এবার রাউজানের এক যুবককে মোটর সাইকেল কিনবে বলে ডেকে এনে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করলে আমরা বিকাশ নম্বরের সূত্র ধরে তাকে গ্রেপ্তার করেছি। অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

 

 

 

 

পূর্বকোণ/সৌমিত্র-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট