চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ফটিকছড়িতে হরেক রকম ফলের বিশাল বাগান

বিশ্বজিত রাহা, ফটিকছড়ি

২৩ অক্টোবর, ২০২০ | ৩:১৯ অপরাহ্ণ

নিজ উদ্যোগে দিনের পর দিন পরিশ্রমের মাধ্যমে ফটিকছড়ির উত্তর পাইন্দংয়ে মো. নুরুল হক গড়ে তুলেছেন বিশাল ফলের বাগান। উত্তর পাইন্দংয়ের ডলু বিদ্যার ঢেবা এলাকায় পরিত্যক্ত টিলায় তিনি প্রায় ১৫ একর জমিতে এ বাগান গড়ে তোলেন। এ বছর বাগানটিতে প্রথমবারের মতো বিভিন্ন প্রজাতির দেশি-বিদেশি আম, চায়না-৩ লিচুর ফলন হয়েছে। এবার প্রথমবারের মতো তিনি প্রায় তিন লাখ টাকার আম ও লিচু বিক্রি করেছেন বলে জানান।

বাগানটিতে ঘুরে দেখা গেছে, তিনি বাগানটিতে আম্রপালি, হিমসাগর, হাঁড়িভাঙ্গা, বারি-৪, থাই পালমার, কিউজাইসহ প্রায় দু’ হাজার আমগাছ লাগিয়েছেন। যার মধ্যে বেশকিছু গাছ ইতোমধ্যে ফলন দিচ্ছে। এছাড়া চায়না-৩ লিচু গাছ লাগিয়েছেন আড়াইশ’র মতো। এসবের পাশাপাশি তিনি ২শ থাই পেয়ারা, ৫ শতাধিক মাল্টা, ২ হাজার আনারস, ২ শতাধিক পেঁপে, জাম্বুরা, জলপাই, লেবু, বেল, লটকন, কমলা, আমলকী, আমড়া ইত্যাদি গাছ লাগিয়েছেন। সেইসাথে তিনি বাগান এলাকায় ২ হাজার ব্রয়লার মুরগির খামার এবং গরু-ছাগলের খামার গড়ে তুলেছেন। প্রতি বছর তিনি সেখান থেকে গরু বিক্রি করে ৬/৭ লাখ টাকা আয় করেন বলে জানান।

এ ব্যাপারে মো. নুরুল হক বলেন, ২০১২/১৩ সালের দিকে তিনি জীবিকার প্রয়োজনে সৌদি আরব যান। সেখানে তিনি খেজুর বাগান ও সবজি বাগানে কাজ করতেন। এসব বাগানে কাজ করতে করতে তার মাথায় আসে এসব বাগানতো তিনি দেশেও করতে পারেন। সেই ভাবনা নিয়ে তিনি দেশে চলে আসেন। এরপর ডলু এলাকায় পরিত্যক্ত পৈত্রিক কিছু জমিতে তিনি জঙ্গল পরিষ্কার করে ২০১৬ সালের দিকে বাগান করতে শুরু করেন। ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে বেশকিছু জমিও কিনে নেন। সব মিলিয়ে তিনি বর্তমানে হক এগ্রো ফার্ম ও মিশ্র ফলজ বাগান নামে প্রায় ১৫ একর জমিতে বিশাল বাগান গড়ে তোলেন। আগামী বছর থেকে বাগানটির গড় উৎপাদন ২০ লাখ টাকার মতো হবে।

সচেতন মহলের মতে, নুরুল হকের এ উদ্যোগ অনেককেই পথ দেখাতে পারে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট