চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

এবার সীমিত আকারে জশনে জুলুস

পাকিস্তান থেকে কেউ আসবেন না

এবার সীমিত আকারে জশনে জুলুস

উপজেলা থেকেও যোগদান হচ্ছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ অক্টোবর, ২০২০ | ৯:০৫ অপরাহ্ণ

এবার সীমিত আকারে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.)’র জুলুস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট। করোনাকালে পাকিস্তান থেকেও কেউ আসছেন না। গতবার জুলুসের নেতৃত্ব দেন পাকিস্তান থেকে আগত আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মা.জি.আ)। ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে শুধুমাত্র শহরের সীমিত সংখ্যক মুসল্লি নিয়ে অন্তত প্রতীকীভাবে এবার জুলুস বের করতে চান আয়োজকরা।

বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর পৃথিবীতে শুভাগমনের এ দিনটি ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণভাবে উদযাপন করতেই এ জুলুসের আয়োজন করে আনজুমান ট্রাস্ট। জুলুসের অনুমতির জন্য ট্রাস্টের পক্ষ থেকে সিএমপি’র কাছে গত রবিবার  (১৮ অক্টোবর) আবেদন করা হয়েছে।

গাউছিয়া কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট মোসাহেব উদ্দিন বখতিয়ার পূর্বকোণকে বলেন, মিলাদুন্নবীর দিন যে জুলুস বের হয় সেটি অর্ধশত বছরের ঐতিহ্য। তাই আমরা প্রতীকীভাবে হলেও বের করতে চাই। গত রবিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সংশোধন করে আরেকটি আবেদন দেয়া হবে। আবেদনে জুলুসের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরা হবে। তারা যেসব শর্ত দেবেন তা মেনেই জুলুস বের করা হবে এবং শহরের বাইরে থেকে কেউ অংশগ্রহণ করবে না।

বলা যায়, অত্যন্ত ছোট আকারেই র‌্যালি বের করা হবে। জামেয়া ময়দানে সবাই জুমার নামাজ আদায় করবে। যেহেতু পাকিস্তান থেকে হুজুর আসছেন না। তাই স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা কঠিন কিছু হবে না। কারণ হুজুর না এলে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসবে না। তাছাড়া এলাকাভিত্তিক মাসব্যাপী খতনা ক্যাম্প, চিকিৎসা ক্যাম্প, রক্তদান কর্মসূচিসহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কর্মসুচি গ্রহণ করা হয়েছে। সাজানো হবে সড়কদ্বীপ। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের সাথে আলাপ হয়েছে। এছাড়া মাইকে পবিত্র কোরান তেলাওয়াত এবং ইসলামী সঙ্গীত প্রচার করা হবে।

গাউছিয়া কমিটি চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি আলহাজ মাহাবুবুল আলম সওদাগর পূর্বকোণকে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইতোমধ্যে এলাকাভিত্তিক কর্মসূচি শুরু হয়ে গেছে। দেশের যেসব এলাকায় শাখা কমিটি আছে সেখানে ইসলামী সাংস্কৃতি প্রতিযোগিতাসহ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। বিভিন্ন ইউনিয়ন, থানা, উপজেলা কমিটি এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

 

 

 

পূর্বকোণ/পি-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট