চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বাসা থেকে সরঞ্জাম সরানোর অভিযোগ চবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে

বাসা থেকে সরঞ্জাম সরানোর অভিযোগ চবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে

চবি সংবাদদাতা

১৯ অক্টোবর, ২০২০ | ৯:৫৬ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসের আশেপাশে ব্যক্তি মালিকানাধীন কটেজ ও মেস ভাড়ায় চবি শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ শতাংশ ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে উল্টো মেসে অবস্থানরত চবি ছাত্রীদের থেকে ১০০% ভাড়া আদায় করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক চবি শিক্ষক আ ন ম আব্দুল মুক্তাদিরের বিরুদ্ধে। এছাড়াও করোনার কারণে ছাত্রীরা মেসে না থাকা অবস্থায় বাসায় ঢুকে জিনিসপত্র সরানোর অভিযোগও করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ নিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী এক ছাত্রী জানান, করোনার ছুটিতে বাড়ি চলে যাওয়ার দীর্ঘদিন পর দরকারী জিনিসপত্র নেয়ার জন্য ক্যাম্পাসে আসেন তারা। কুমিল্লা থেকে আসার পর বাসায় ঢুকতে চাইলে বাড়ির মালিক মুক্তাদির বাসার বকেয়া উসুল করিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টা পর বাসায় ঢুকতে দেয়। এ সময় ৪০% ভাড়া মওকুফের নোটিশ মানেননি তিনি। উপরন্তু বাসায় ঢুকে তারা কোনোকিছুই যেভাবে রেখে গিয়েছিলেন সেভাবে পাননি বলে অভিযোগও করেন তিনি।

ভুক্তভোগী অন্যান্য শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা যাওয়ার সময় আমাদের বিছানা ও জিনিসপত্র সব গুছিয়ে রেখে গিয়েছিলাম। কিন্তু এসে দেখি বাসার সব জিনিসপত্র এলোমেলো হয়ে পড়ে আছে। বাসার সিলিংফ্যান, মাল্টিপ্লাগ, ছাতাসহ আরো অনেক ব্যবহারের জিনিস আমরা আসার পর খুঁজে পাচ্ছি না। এ নিয়ে আমরা তৎক্ষনাৎ স্যারকে (বাড়িওয়ালা) জানালে উনি বললেন এসব বিড়াল করেছে। অথচ বাসার দরজা জানালা সবকিছু বন্ধ ছিল৷ বিড়াল ঢোকার প্রশ্নই আসে না। আমরা প্রক্টর স্যারের নিকট প্রমাণসহ অভিযোগ দিয়েছি। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান চাই।

এর আগে গত ৬ জুলাই রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন শিক্ষার্থী বাসায় প্রবেশ করতে চাইলে তাকে ছুরি নিয়ে ধাওয়া করেন অভিযুক্ত মুক্তাদির। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দায়ের করলে প্রক্টরিয়াল বডি বিষয়টি মীমাংসা করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক চবি শিক্ষক আ ন ম আব্দুল মোক্তাদিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে উনি অভিযোগ অস্বীকার করে ফোন কেটে দেন।

এদিকে, ভুক্তভোগী ছাত্রীদের পাশে আছে জানিয়ে চবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যায় সর্বাত্মক পাশে আছি। শিক্ষার্থীরা কোনো যায়গায় এমন হয়রানির শিকার হলে সাথে সাথেই যেন আমাকে জানায়। প্রশাসন যদি এই ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান না করেন তাহলে ওই বাসা ঘেরাও করার হুশিয়ারিও দেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ছাত্রীরা অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা বিষয়টা খতিয়ে দেখছি।

প্রসঙ্গত, এর আগেও ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সময় বাসায় ভর্তি পরীক্ষার্থীদের আশ্রয় দিলেই জনপ্রতি ৫০০, ৪০০কিংবা ৩০০ টাকা করে চাঁদা নেয়ার অভিযোগ উঠে আব্দুল মুক্তাদিরের বিরুদ্ধে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় ছাত্রীদের হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিকবার আলোচনায় এসেছেন চবি’র সাবেক ওই শিক্ষক।

 

 

 

 

পূর্বকোণ/রায়হান-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট