৩ দফা দাবিতে চলমান আন্দোলন প্রশাসনের আশ্বাসে স্থগিত করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) অফিসার সমিতি। আজ সোমবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে চবি অফিসার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হামিদ হাসান নোমানী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নীতিগতভাবে আমাদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে। তাই আপাতত আমাদের সব কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। বেতন গ্রেডের বিষয়ে একটা বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। কমিটি সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যেই রিপোর্ট প্রদান করবে। রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। অন্যদিকে অফিসারদের সকল পদ হতে শিক্ষকদের প্রত্যাহারের বিষয়ে বলেছে শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এসব পদ পূরণ করা হবে। এছাড়া ডিউ ডেটের বিষয়ে দাবি মেনে নিয়েছে।
এর আগে সকাল ৯টায় দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি কর্মসূচি শুরু হয়। দ্বিতীয় দিনে দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার আলোচনার জন্য অফিসার সমিতির নেতৃবৃন্দ নিয়ে বৈঠকে বসেন।
প্রসঙ্গত, গত ৮ অক্টোবর তিনদফা দাবিতে ১১-১৩ অক্টোবর পর্যন্ত দুই ঘণ্টা করে কলমবিরতি ও ১৫ অক্টোবর অর্ধদিবস কর্মবিরতি এবং ১৮ অক্টোবর পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় চবি অফিসার সমিতি। এরপরও প্রশাসন দাবি না মানায় লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দেয় সংগঠনটি।
তিন দফা দবিগুলো হল-
১. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জারিকৃত ১৯৭৩ সালের Act/order বলে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় সহকারী রেজিস্ট্রার/সমমানের পদে ৬ষ্ঠ গ্রেড এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার/সমমানের পদে ৪র্থ গ্রেড নির্ধারণের মাধ্যমে গ্রেডের সমতা আনয়নের ব্যবস্থা গ্রহণ।
২. প্রশাসক পদ বাতিলসহ অফিসারদের সকল পদ হতে সম্মানিত শিক্ষকদের প্রত্যাহার এবং বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট সিনিয়র অফিসারদের পদায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
৩. বিশ্ববিদ্যালয়ে অফিসারদের ‘ডিউ ডেট’ সমস্যা নিরসন করতঃ পূর্বের ন্যায় চালুর ব্যবস্থা গ্রহণ।
পূর্বকোণ/রায়হান-আরপি