চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

টেকনাফের সাবরাং হবে থাইল্যান্ডের ‘পাতায়া’

বিনিয়োগ হচ্ছে ২ হাজার ৭৭ কোটি টাকা

টেকনাফের সাবরাং হবে থাইল্যান্ডের ‘পাতায়া’

হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম

১৯ অক্টোবর, ২০২০ | ৫:১১ অপরাহ্ণ

৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) পর্যটকদের সুবিধার্থে টেকনাফের সাবরাং ও জালিয়ারদ্বীপে বিশুদ্ধ ও মিষ্টিপানি সরবরাহের বড় পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। আগামী ৩০ বছরে ৬ ধাপে ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে। অতিরিক্ত লবণাক্ত পানিতে সৃষ্ট সংকট দূর করে বিনিয়োগ পরিবেশ তৈরি করতে এ পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এ প্রকল্পের আওতায় টেকনাফের হোয়াইক্যং পাহাড়ি অঞ্চল থেকে সরবরাহ লাইনের মাধ্যমে মিঠা পানি যাবে সাবরাং ও জালিয়ারদ্বীপে। এর ফলে সেন্টমার্টিনের পাশের এই এলাকা দুটিতে অত্যাধুনিক ট্যুরিজম প্রকল্প বাস্তবায়ন অনেকটাই সহজ হবে বলে মনে করছে বেজা।

টেকনাফের সাবরাংয়ে এক হাজার ৪১ কিলোমিটার জমিতে গড়ে উঠছে নতুন এক পর্যটন অঞ্চল। থাইল্যান্ডের পাতায়ার আদলে সাবরাংকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন অঞ্চলে রূপ দেওয়ার প্রস্ততি চলছে। বেজা সূত্রে প্রকাশ, সাবরাং হবে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা পর্যটন অঞ্চল। বিনিয়োগ হবে ২ হাজার ৭৭ কোটি টাকা। সেখানে থাকবে পরিবেশবান্ধব শহর, সুন্দরবনের থিম পার্ক ও নাইট সাফারি, রয়্যাল ক্যাসিনো, গলফ ক্লাব, অ্যাকোয়ারিয়াম, জাদুঘর, হেরিটেজ পার্ক, শপিং মল, রেস্টুরেন্ট, ক্লাবসহ অন্যান্য সুবিধা। এছাড়া থাকছে ১০০ শয্যার হাসপাতাল এবং স্কুল।

অন্যদিকে নাফ নদীর জালিয়ার দ্বীপটিকে ঘিরে গড়ে উঠছে দেশের প্রথম বিশেষায়িত ট্যুরিজম পার্ক। ২৯১ একর ভূমির এই দ্বীপকে আন্তর্জাতিকমানের ট্যুরিজম পার্কে রূপ দেওয়ার কাজ চলছে। এই ট্যুরিজম পার্কে পাঁচ তারকা হোটেল, ঝুলন্ত সেতু, ৯ দশমিক ৫ কিলোমিটার ক্যাবল কার নেটওয়ার্ক, রিসোর্ট, ভাসমান জেটি, শিশু পার্ক, ইকো-কটেজ, ওশানেরিয়াম, ওয়াটার রেস্টুরেন্ট, ভাসমান রেস্টুরেন্টসহ বিনোদনের বিভিন্ন আয়োজন রাখার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

টেকনাফে প্রকল্প পরিদর্শনকালে সংবাদকর্মীদের বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী এ বিষয়ে জানান, ‘লবণাক্ততা পুরো কক্সবাজার এলাকার জন্যই একটা বড় সমস্যা। এখন আমরা সেই বাধা দূর করার একটা উপায় বের করতে পেরেছি। এক বছর গবেষণার পর দ্বীপ দুটি থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে হোয়াইক্যংয়ে এই মিঠা পানির উৎসের সন্ধান পেয়েছে আইডব্লিউএম।

২০২৪ সালে প্রকল্পের ১ম ধাপ, ২০২৯ সালে ২য় ধাপ, ২০৩৪ সালে ৩য় ধাপ, ২০৩৯ সালে ৪র্থ ধাপ, ২০৪৪ সালে ৫ম ধাপ এবং ২০৪৯ সালের মধ্যে সর্বশেষ ধাপ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে।

 

 

 

 

পূর্বকোণ/পি-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট