চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক: পর্যটননির্ভর প্রথম অর্থনৈতিক অঞ্চল

নিজস্ব সংবাদদাতা, টেকনাফ

১৬ অক্টোবর, ২০২০ | ৩:৫০ অপরাহ্ণ

দেশের সর্বপ্রথম পর্যটননির্ভর অর্থনৈতিক অঞ্চল টেকনাফের সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক বাস্তবায়নে ২ হাজার ৭৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
জানা যায়, টেকনাফের সাবরাং সমুদ্র তীরে এই পর্যটন অঞ্চল গড়ে উঠছে। পরিকল্পিত এই আধুনিক পর্যটন পার্কে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তারা। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) কাছে বেশকিছু কোম্পানির বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। এগুলো পর্যালোচনা করে ইতোমধ্যে ১২টি কোম্পানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে বেজার নির্বাহী বোর্ড। কোম্পানিগুলো পার্কের মধ্যে তারকা হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট নির্মাণ করবে। তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী প্রায় সাড়ে ২৪ কোটি ডলার বা ২ হাজার ৭৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। ২০১৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকনাফ সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক বাস্তবায়নে উন্নয়নকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন।
বেজা সূত্রে জানা যায়, পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য ১ হাজার ৪৭ একর আয়তনের এই পার্কে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা রেখে অবকাঠামো নির্মাণ হচ্ছে। প্রস্তাব অনুমোদন পাওয়া ১২ কোম্পানি ১১৬ একর জমিতে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করবে। এতে ১০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। ১২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২টি বিদেশি কোম্পানি আছে। সিঙ্গাপুরের ইন্টার এশিয়া গ্রুপ ৮৩ একর জমিতে ৯ কোটি ডলার বিনিয়োগে হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট করবে। এতে প্রায় ৬ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। আর নেদারল্যান্ডসের লিজার্ড স্পোর্টস বি.ভি. কোম্পানিও হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট নির্মাণ করবে। এছাড়া দেশি কোম্পানি হোয়াইট অর্কিড গেস্ট হাউস, মুনলাইট ওভারসিস, বিসিএস মাল্টিপারপাস ওয়েলফেয়ার কো-অপারেশন সোসাইটি, ডাটা সফট সিস্টেম বিডি ও প্রজেক্ট প্রমো, নিট প্লাস, বায়োটেক প্রিন্টিং প্লাস, ইফাদ অটোস, ইফাদ মোটর, দি কক্স টুডে ও সুইট ড্রিম ম্যানেজমেন্ট বিনিয়োগের অনুমোদন পেয়েছে। ৩টি কোম্পানির সঙ্গে জমি ইজারা চুক্তিসই করেছে বেজা। আরও ৪টি কোম্পানি জমি বরাদ্দপত্র ইস্যু করেছে। এই পার্কের পরিকল্পিত উন্নয়নে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালট্যান্টস ও কোরিয়ান পরামর্শক প্রতিষ্ঠান দোহওয়া কনসালট্যান্টস যৌথভাবে মহাপরিকল্পনার খসড়া প্রণয়ন করেছে। বেজা মাটি ভরাট, ভূমি, সড়ক উন্নয়নসহ অন্যান্য উন্নয়ন কার্যক্রম করছে। পার্কটি টেকনাফ স্থলবন্দর থেকে ৮ কিলোমিটার ও কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে ২ ঘণ্টার দূরত্বের মধ্যে। আর ঢাকা থেকে দূরত্ব ৪৫০ কিলোমিটার। এটি পাহাড় ও সমুদ্র সৈকত নিয়ে বহুমুখী ও বৈচিত্র্যপূর্ণ চমৎকার একটি অঞ্চল।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী টেকনাফ সফরকালে সংবাদকর্মীদের বলেন, বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ উপযোগী প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য মাথায় রেখেই পার্কের উন্নয়ন করা হচ্ছে। এখানে বাঁধ ও স্লুইস গেট নির্মাণ করা হয়েছে। এখন কিছু এলাকায় মাটি ভরাট করা হয়েছে। ওই এলাকায় পর্যাপ্ত বালি পাওয়া যাচ্ছে না। জানুয়ারির পর বিকল্প উপায়ে বালি ও মাটি সংগ্রহ করে ভরাট করা হবে। আগামী মৌসুমে মাটি ভরাট কাজ শেষ করে ২০২১ সালে বিনিয়োগকারীদের জমি হস্তান্তর করা হবে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট