চট্টগ্রামের সাতকানিয়া পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ দাশ ও হিসাবরক্ষক এএইচএম আলমগীরকে অবশেষে শাস্তিমূলক বদলির আদেশ দিয়েছেন এলজিইডি উপ-সচিব। মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক আদেশে গত বুধবার (১৪ অক্টোবর) তাদের রংপুর ও দিনাজপুর জেলার দুটি পৌরসভায় বদলির এ আদেশ দেয়া হয়।

অন্যদিকে, উপজেলা পৌরসভার কাউন্সিলর একেএম মোর্শেদকে প্রধান, কাউন্সিলর নেছার আহমদ চৌধুরী ও কাউন্সিলর সাইফুল আলম সোহেলকে সদস্য করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন মেয়র। তবে মেয়র জানান, তারা এখনো তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়নি।

জানা যায়, পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ দাশ ও হিসাবরক্ষক এএইচএম আলমগীরের সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্টে নামে-বেনামে অস্বাভাবিক লেনদেন নিয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর দৈনিক পূর্বকোণে ‘দু সরকারি স্টাফের একাউন্টে কোটি কোটি টাকার লেনদেন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় নড়েচড়ে বসে। পরে মন্ত্রণালয় থেকে সাতকানিয়া পৌরসভার মেয়র মো. জোবায়েরের নিকট টেলিফোনে ব্যাখ্য চাওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মেয়রকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়। পরে মেয়র তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে পত্র প্রেরণ করা হয় ও ব্যক্তিগতভাবে মেয়র সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবের সাথে দেখা করেন। সব প্রক্রিয়া শেষে গত বুধবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক আদেশে সহকারী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ দাশকে রংপুর জেলার হারগাছা পৌরসভা ও হিসাবরক্ষক এএইচএম আলমগীরকে দিনাজপুরের পার্বতীপুর পৌরসভায় স্বপদে শাস্তিমূলক বদলির আদেশ দেয়া হয়।
সাতকানিয়া পৌরসভার মেয়র মো. জোবায়ের সাতকানিয়া পৌরসভার এ দুই কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বদলির আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করে পূর্বকোণকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের আদেশে কাউন্সিলর একেএম মোর্শেদকে প্রধান করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে আসলেই তা মন্ত্রণালয়কে প্রেরণ করা হবে।

পূর্বকোণ/সুকান্ত-আরপি