চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সীতাকুণ্ডে যুবতীকে হোটেলে এনে দু’দিন ধরে ‘গণধর্ষণ’, ৬ অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

সীতাকুণ্ড সংবাদদাতা

১২ অক্টোবর, ২০২০ | ৭:৩১ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ছয় যুবকের বিরুদ্ধে বেড়ানোর কথা বলে যুবতীকে আবাসিক হোটেলে এনে টানা দু’দিন ধরে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী যুবতী থানায় এসে অভিযোগ করলে হোটেল ম্যানেজারসহ ৬ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো নয়ন (২২) ও তার বন্ধু আলীম হোসেন (২২), বারেক (২২), রণি (২০), ইমন ইসলাম (২০), মোহাম্মদ রিফাত (১৯) এবং জলসা হোটেলের ম্যানেজার নুর উদ্দিন (৩৮)।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ভাটেরখীল গ্রামের রাজমিস্ত্রি আবুল কাশেমের ছেলে নয়নের (২২) সঙ্গে মিরসরাইয়ের গাছবাড়িয়া এলাকার এক স্বামী পরিত্যক্তা যুবতীর (১৮) এক মাস আগে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের পরিচয় হয়। সম্প্রতি ওই যুবতীকে বেড়ানোর প্রস্তাব দিলে তাতে সম্মত হয়ে সে গত শনিবার (১০ অক্টোবর) সীতাকু-ে এসে উপস্থিত হলে প্রেমিক নয়ন ও তার বন্ধুরা তাকে গুলিয়াখালী সি-বিচসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে রাতে পৌরসদর ডিটি রোডের জলসা হোটেলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে গত দু’দিন প্রেমিক নয়ন ও তার পাঁচ বন্ধু তাকে টানা ধর্ষণ করতে থাকে। এতে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে আজ সোমবার (১২ অক্টোবর) সকালে থানায় গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ করে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরে জলসা হোটেলে অভিযান চালিয়ে ম্যানেজার ও প্রেমিক নয়নসহ ছয় ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। একইদিন বিকালে ধর্ষিতা মামলা দায়ের করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়।

ওসি (তদন্ত) সুমন বণিক আরও বলেন, সীতাকুণ্ড পৌরসদরে ৭-৮টি অবৈধ আবাসিক হোটেল রয়েছে। অনুমোদনবিহীন এসব হোটেলে প্রায় প্রতিদিনই পর্যটকের নামে প্রেমিক-প্রেমিকা ও বিভিন্ন সম্পর্কের নারী-পুরুষ এসে ধর্ষণ বা দেহ ব্যবসার মত ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। এতদিন নির্দিষ্ট প্রমাণ না পাওয়ায় আমরা এ নিয়ে মাথা ঘামাইনি। এখন শীঘ্রই অভিযান চালানো হবে।

 

 

 

পূর্বকোণ/সৌমিত্র-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট