চট্টগ্রাম বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

সেন্টমার্টিন নিয়ে হটকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

কক্সবাজার সংবাদদাতা

১১ অক্টোবর, ২০২০ | ৪:০৫ অপরাহ্ণ

টেকনাফ সেন্টমার্টিনদ্বীপে পর্যটক সীমিতকরণ এবং রাত্রিযাপন নিষিদ্ধকরণ ও নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ট্যুর অপারেটরস্ এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক)।

আজ রবিবার (১১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এক স্মারকলিপি দেন।

ট্যুর অপারেটরস্ এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) সভাপতি তোফায়েল আহম্মেদ এর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম-সম্পাদক এস কাজল এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনের প্রধান অতিথি ছিলেন টুয়াকের প্রধান উপদেষ্টা মুফিজুর রহমান মুফিজ। বক্তব্য রাখেন টুয়াকের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান এম.এ হাসিব বাদল, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস.এম কিবরিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি আনোয়ার কামাল, সহ-সভাপতি হোসাইন আহামদ বাহাদুর, সাধারণ সম্পাদক আসাফ উদ্ দৌলা আশেক, সেন্টমার্টিন হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম জিহাদী।

মানববন্ধনের প্রধান অতিথি টুয়াকের প্রধান উপদেষ্টা মুফিজুর রহমান মুফিজ বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করার জন্য অনলাইনে নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রতিদিন ১২৫০জন পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হলে বিদেশী পর্যটক বাংলাদেশ ভ্রমণে না আসার পাশাপাশি দেশীয় পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে বিমুখ হবে। এতে সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমন ব্যবসা ক্ষতি হওয়ার সাথে সাথে হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগে গড়ে উঠা কক্সবাজার পর্যটন ব্যবসাও ক্ষতি সাধিত হবে। সেন্টমার্টিন দ্বীপকে ঘিরে পর্যটক ভ্রমন সেবা প্রদানের মাধ্যমে দুইশতাধিক ট্যুর অপারেটর ও পাঁচ শতাধিক গাইড এবং লক্ষাধিক পর্যটকসেবি কর্মকর্তা-কর্মচারি তাদের কর্মসংস্থান হারাবে।

তিনি আরো বলেন, কক্সবাজারের উন্নয়নকে থামিয়ে দেয়ার জন্য এক চক্র এই ষড়যন্ত্র করছে। তারাই প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বুঝিয়ে এই হটকারি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

টুয়াক সভাপতি তোফায়েল আহম্মেদ বলেন, কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করার জন্য মন্ত্রণালয়ে বসে একটি চক্র এই হটকারি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা বিশ্বের নন্দিত পর্যটন নগরীকে কক্সবাজারকে পিছিয়ে দিয়ে কুয়াকাটা ও সুন্দরবনকে প্রমোট করার অপচেষ্টা করছে। বিষয়টি বিবেচনা করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান এবং পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য সংসদ আশেক উল্লাহ রফিক আপনারা সেন্টমার্টিন নিয়ে এই হটকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলুন।

তিনি বলেন, সেন্টমার্টিনের পর্যটন সীমিত করা হলে স্থানীয় জনগণ পূর্বের অবস্থায় ফিরে গিয়ে সমুদ্র হতে মাছ আহরণ, প্রবাল উত্তোলন, প্রবাল পাথরকে নির্মাণ কাজে ব্যবহার, মাছের অভয়ারণ্য ধ্বংস, শামুক-ঝিনুক সংগ্রহ করে নানা উপায়ে জীবিকা নির্বাহ করবে। এতে দ্বীপের পরিবেশ মারাত্মক হুমকীর সম্মুখিন হবে বলেন টুয়াক সভাপতি।
মানববন্ধনে সেন্টমার্টিনের পর্যটন সংশ্লিষ্ট সাতটি সংগঠনের লোকজন অংশ নেন। এছাড়াও পর্যটন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক, ট্যুর অপারেটরসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট শত শত লোকজন অংশ নেন।

পূর্বকোণ/আরফাতুল-এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট