চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

পূজার কেনা-কাটায় সরব হচ্ছে মার্কেট

মরিয়ম জাহান মুন্নী

১১ অক্টোবর, ২০২০ | ৩:২১ অপরাহ্ণ

পূজার কেনাকাটায় অন্যান্যবারের মত এবার তেমন ভিড় নেই। ঢিমেতালে চলছে বেচা-কেনা। তবে পূজা উপলক্ষে মার্কেটে বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। করোনার দাপটে বদলে যাওয়া জীবনযাপনে সচেতনতার কারণে সতর্কতার সাথে চলছে পূজার বাজার। এবার পরিবেশবান্ধব পোশাক বা সাজের উপকরণ বেছে নেয়া হচ্ছে বেশি। আর পূজার সাজেও তাই নিশ্চিত জায়গা করে নিতে চলেছে পরিবেশ-সচেতনতা।
শপিংমল ‘অর্ণব’ ও ‘মাসুম’ কর্তৃপক্ষ বলেন, কেনাকাটা যদিও বা হচ্ছে অল্পস্বল্প, তার বেশিরভাগটাই অনলাইনে। আর সেই অনলাইন শপিংয়ের সাইটে চোখ রাখলেই বদলটা চোখে পড়ছে। কমবয়সী প্রজন্মের পছন্দে ঢুকে পড়ে ‘ইকো ফ্রেন্ডলি ফ্যাশন’। বেশিরভাগ ডিজাইনারেরা বলছেন, পোশাকে পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহারের পাশাপাশি উৎপাদন ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক সম্পদের অপচয় এড়ানো, ক্ষতিকর রাসায়নিকযুক্ত কাঁচামাল ব্যবহার না করা, বর্জ্য পদার্থ পুনর্ব্যবহারের মতো ব্যবস্থা গড়ে দিচ্ছে পরিবেশ সচেতন ফ্যাশনের ধারা। তা প্রচলিত করে তুলতে ক্রেতাদেরও পরিবেশবান্ধব পোশাকের চাহিদা তৈরির পাশাপাশি অল্পদিনে জামাকাপড় বাতিল না করা বা বাতিল জামাকাপড় নানা উপায়ে কাজে লাগানো বা মানিয়ে নিতে হবে। অনলাইন শপিং সাইট বা ইন্টারনেটে জামাকাপড় রিসাইক্লিং সংক্রান্ত অজয় ভিডিয়োই তার প্রমাণ।
দেখা যাচ্ছে, ইদানিং অর্গানিক কটন বা লিনেনের পোশাকের চাহিদা বেশি। এই দু’টিই উদ্ভিজ ফাইবার থেকে তৈরি এবং পরিবেশবান্ধব। পরিবেশবান্ধব উপকরণ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে বিশেষভাবে তৈরি সিল্ক, উল, পলিয়েস্টার বা নাইলনের মতো উপকরণও। সে সব কিনছেনও ক্রেতারা। ইন্টারনেটের সৌজন্যে শহরগুলোতে তো বটেই, গ্রামেও ক্রমশ পরিচিতি বাড়ছে পরিবেশবান্ধব ফ্যাশনের। এছাড়া সরেজমিনে নগরীর শপিংমলগুলোতেও নারী ক্রেতাদের উপস্থিতি দেখা যায়।
নিউমার্কেট, চকবাজার, সানমার ও সেন্ট্রাল প্লাজার বিক্রেতারা বলেন, করোনায় যেভাবে ব্যবসা বন্ধ ছিল তার তুলনায় কিছুটা বেচা-বিক্রি বেড়েছে। তবে অন্যান্যবারে দুর্গাপূজায় যেভাবে ব্যবসা হতো সেইভাবে মোটেই হচ্ছে না। মতি টাওয়ারে আলম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, শুক্রবার মোটামুটি ভালোরকমের বিক্রি হয়েছে। তবে এসময় সনাতন ধর্মীয় ক্রেতারাই বেশি। তারা পূজা উপলক্ষে কেনাকাটা করছে।
সেন্ট্রাল প্লাজায় স্কুল শিক্ষিকা ললিতা রানী ধর নামের এক ক্রেতা বলেন, এবারের পূজায় মনের মত শপিং হয়নি। নিজের জন্যতো কিছুই কিনছি না। কারণ আমার চাকরি নেই ৭ মাস ধরে। বাচ্চাদের বাবারও আয়-রোজ কম। কিন্তু বাচ্চাদেরতো আর বুঝাতে পারছি না। তাই আজকে দুই মেয়েকে নিয়ে হালকা শপিং করতে আসছি। দুই হাজার টাকার কাপড় কিনেছি মেয়েদের জন্য। এখন শপিং নয়, কোনো রকমে খেয়ে বাঁচাই লক্ষ্য।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট