চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

নগর যুবলীগে বিরোধ তুঙ্গে

আহ্বায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

নগর যুবলীগে বিরোধ তুঙ্গে

ইফতেখারুল ইসলাম

২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ৪:৫৮ অপরাহ্ণ

নগর যুবলীগে বড় ধরনের বিরোধ দেখা দিয়েছে। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে তারা পৃথক কর্মসুচি পালন করেছে। আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু যুবলীগের একটি অংশকে নিয়ে নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন মুসাফিরখানা মসজিদে মিলাদের আয়োজন করেছেন। অপরদিকে, চার যুগ্ম আহ্বায়ক লালদিঘি জামে মসজিদে মিলাদের আয়োজন করেছেন। এই কর্মসুচির মাধ্যমে তাদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল।

নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়কদের বক্তব্য হল সংগঠন চালানোর ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানোর সুযোগ নেই। নিজের অবস্থান তৈরি করার জন্য অসাংগঠনিক কর্মসুচি দিয়ে সংগঠন ব্যবহার করা হচ্ছে। যুগ্ম আহবায়কদের সাথে কোন ধরনের আলোচনা করা হচ্ছে না।

২০১৩ সালের জুলাই মাসে ১০১ সদস্যের নগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছিল তিন মাসের জন্য। সেসময় আহ্বায়ক এবং চার যুগ্ম আহ্বায়ক ঐক্যবদ্ধ ছিল। বিরোধ ছিল নগর আওয়ামী লীগের অনুসারী যারা যুবলীগের কমিটিতে স্থান পেয়েছে তাদের সাথে। এ কারণে বিভিন্ন সময়ে বক্তব্য-পাল্টা বক্তব্য এবং পৃথক কর্মসুচি দেখা যেত। তবে আহ্বায়ক-যুগ্ম আহ্বায়কদের মধ্যে আন্তঃকোন্দল থাকলেও তা তারা কখনো প্রকাশ করেননি। অর্ধযুগেরও বেশি সময় পর তাদের কোন্দল এখন প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপকালে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত কয়েকমাস ধরে আহ্বায়ক বিভিন্ন ওয়ার্ডে নানা সভা-সমাবেশ করেছেন। সেখানে যুগ্ম আহ্বায়কদের মধ্যে কারো উপস্থিতি দেখা যায়নি। অনেকটা সাংগঠনিক কার্যক্রমের বাইরে গিয়ে তিনি এসব কর্মসূচি পালন করেছেন। এনিয়ে যুগ্ম আহ্বায়কদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। যার পরিণতি হিসেবে তারা গতকাল পৃথক কর্মসুচি পালন করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আহ্বায়ক মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, বিভাজন নয়। যার যেখানে অবস্থান সে এলাকার মসজিদে দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই সেভাবে আয়োজনের নির্দেশনা ছিল। একে বিভাজন বলার সুযোগ নেই।

যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকা পূর্বকোণকে বলেন, অসাংগঠনিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চর্চার কারণে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। যেকারণে আলাদা কর্মসূুচি গ্রহণ করা হয়েছে। তবে আশা করছি অচিরেই ভুল বুঝাবুঝির অবসান হবে।

আরেক যুগ্ম আহবায়ক ফরিদ মাহমুদ বলেন, প্রাণপ্রিয় সংগঠনকে কেউ যদি নিজের মনে করে তার ঘরে নিয়ে যায়। তখন সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার মত পরিবেশ আর থাকে না। নিজেকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে যুবলীগকে প্রতিনিয়ত ব্যবহার করা হচ্ছে। ভুলে গেলে চলবে না সংগঠন সবার। ব্যক্তি বিশেষের নয়।

মাহবুবুল হক সুমন বলেন, যুবলীগ একটি শক্তিশালী সংগঠন। অনেকের দীর্ঘ দিনের পরিশ্রমের ফসল হিসেবে এই শক্তি এবং মর্যাদা অর্জিত হয়েছে। কারো নিজস্ব চিন্তা ভাবনায় এই সংগঠন চলতে পারে না। যুগ্ম আহবায়কসহ কমিটির সবার সমৃদ্ধ মতামত ও পরামর্শের ভিত্তিতে সংগঠন চলতে হবে। কেউ ব্যক্তিগতভাবে এই সংগঠনকে ব্যবহার করতে চাইলে আমরা তাতে সায় দেব না।

 

 

 

পূর্বকোণ/পি-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট