চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন ক্যারাভান কর্মসূচিতে সিরাজদৌলা রোডে অবৈধ কাঁচা বাজার দেখে তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলে এই অবৈধ বাজার না বসানোর অঙ্গীকার করান। এছাড়া একই সড়কে জয়নব কলোনির সামনে ফুটপাত দখল করা দুটি অবৈধ দোকানদারকে আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে তাদের অবকাঠামো নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন।
তিনি গতকাল দুপুরে আন্দরকিল্লা, সিরাজদ্দৌলা রোড, চকবাজার, জামালখান ও চেরাগী পাহাড় হয়ে পুনরায় আন্দরকিল্লা পর্যন্ত ‘নগর সেবায় ক্যারাভান’ কার্যক্রম পরিচালনার সময় এ নির্দেশ দেন।
তিনি চকবাজার মোড় এলাকায় অলস গাড়ি পার্কিং না করা ও যত্রতত্র ইট-বালির ব্যবসা না করার জন্য স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়ে বলেন, প্রয়োজনে বিকল্প ব্যবস্থায় ব্যবসা করার জন্য আমরা আপনাদের সহযোগিতা দিব। তবে জনগণের অধিকার হরণ করে ফুটপাত দখল নয়।
তিনি বলেন, প্রথমত আমার অনুরোধ, তার পরে নির্দেশ, তা যদি কেউ অমান্য করে বা নিজের বাহুত্ব প্রকাশ করে তাকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রয়োগ করা হবে। ধারাবাহিকভাবে ক্যারাভান কর্মসূচির ফলে জনগণ ফুটপাতে হাঁটার অধিকার ফিরে পেয়েছে। জন ও যান চলাচলে যেখানে প্রতিবন্ধকতা আছে তাকে প্রতিহত করাই নগরবাসীর প্রতি আমার দায়বদ্ধতা।
তিনি আরো বলেন, আমি লক্ষ্য করছি, নির্দেশনা দেয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে কাজ করা হলেও চোখের আড়াল হওয়ার পর পরই তা আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে। তা শুধু দুঃখজনক নয়, তা আমাকে ক্ষুব্ধ করে।
আমি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, সহ্যের সীমা অতিক্রম করলে কাউকেই ক্ষমা করা হবে না।
তিনি বলেন, চকবাজার এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী যে মেগা প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছেন তা বাস্তবায়নে বিভিন্ন সেবা সংস্থাগুলো নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তবে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহলের দীর্ঘদিনের অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করতে এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণে কোথাও কাজে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ হলে আগামীতে এর সুফল আপনারাই ভোগ করবেন।
যাত্রাপথে উৎসুক নগরবাসী চসিক প্রশাসকের জনহিতকর কর্মকা-ের ভূঁয়সী প্রশংসা করেন। এলাকাবাসী প্রশাসকের যে কোন কর্মকাণ্ডে পাশে থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এসময় প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, ফারজানা মুক্তাসহ চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রত্যেক এলাকার স্থায়ী গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।-বিজ্ঞপ্তি

পূর্বকোণ/এএ