চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

বাল্ক এলপিজি’তে অসন্তোষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ১:৩৫ অপরাহ্ণ

বাল্ক এলপিজি বিক্রির দরপত্র আহ্বান নিয়ে এলপিজি ডিলারদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। এই টেন্ডার বাতিল ও সিলিন্ডার আমদানিসহ বিভিন্ন দাবিতে ডিলাররা আন্দোলনে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে। ডিলার এসোসিয়েশন তাদের দাবিতে কয়েক হাজার ডিলারের জামানত ও বিনিয়োগকৃত সিলিন্ডারের টাকা ফেরত না দিয়ে কোন অবস্থাতেই বেসরকারি কোম্পানিকে লিকুইড বিক্রি করতে দেয়া যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন সূত্র জানায়, ক্রুড অয়েলের একটি বাই প্রোডাক্ট হচ্ছে লিক্ইুফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি)। ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত এলপিজি জ্বালিয়ে ফেলা হত। ১৯৭৮ সালে সিলিন্ডার ভর্তি করে এলপিজি বিপণন শুরু হয়। পতেঙ্গার গুপ্তখাল ও সিলেটের কৈলাশ টিলায় দুটি এলপিজি প্ল্যান্টের মাধ্যমে এলপিজি বাজারজাত করা হয়। পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা তিনটি তেল কোম্পানির মাধ্যমে এলপিজি বিপণন করা হয়। সারা দেশে এলপিজির সাড়ে তিন হাজার ডিলার রয়েছেন । চট্টগ্রামে ডিলার সংখ্যা ১ হাজার। এলপিজির চট্টগ্রাম ও সিলেট দুই প্ল্যান্টে দৈনিক উৎপাদন গড়ে ৬৫ হাজার টন। দেশে এলপিজির চাহিদা প্রায় দুই লক্ষ টন। ২৯টি বেসরকারি কোম্পানি এলপিজির চাহিদা পূরণ করে।
চট্টগ্রাম মহানগর এলপি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটর-ডিলার-এসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ সাইফুল আলম জানান, বাল্ক এলপিজি বিক্রির দরপত্র আহ্বান ডিলারদের বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র। ১৯১১ সালে এধরনের বাল্ক এলপিজি বিক্রির টেন্ডার ডিলারদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিল। এবারো একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ৪২ বছর পূর্বে সরকারিভাবে যে তিন লক্ষ সিলিন্ডার আমদানি করা হয়েছিল তা দিয়ে এখনো সরকারিভাবে এলপিজি বিক্রি চলছে। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। উল্লেখ্য, একটি সিলিন্ডারের মেয়াদ ১৫ বছর। তিনি অবিলম্বে ৫ লক্ষ সিলিন্ডার আমদানির দাবি জানান। এব্যাপারে এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে গত ৯ সেপ্টেম্বর পতেঙ্গাস্থ এলপি গ্যাস প্ল্যান্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানকে ৫ দফা দাবি জানিয়ে পত্র প্রদান করা হয়েছে। একইসাথে তেল কোম্পানি সমূহকে দাবি সমূহ লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এলপি গ্যাস লিমিটেডের বাল্ক এলপিজি বিক্রির দরপত্র দাখিলের তারিখ কাল ২৩ সেপ্টেম্বর। বাল্ক এলপিজি বিক্রি ও সিলিন্ডার আমদানিসহ ডিলার এসোসিয়েশনের দাবির ব্যাপারে পতেঙ্গা এলপি গ্যাস প্ল্যান্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান খানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ডিলাররা এলপিজি নিচ্ছে না বলেই বাল্কে বিক্রির টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। গরমকালে এলপিজির চাহিদা কম থাকে, শীতকালে চাহিদা বেড়ে যায়। ডিলাররা যখন চাহিদা থাকে তখন নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। অন্য সময় নেয় না। জরাজীর্ণ সিলিন্ডারের বিষয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ২৫ হাজার সিলিন্ডারের টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। আরো এক লাখ সিলিন্ডারের জন্য টেন্ডার করা হবে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট