চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ওয়াসার পাইলট প্রকল্পের টেন্ডার এ সপ্তাহেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ৫:১২ অপরাহ্ণ

পানির অপচয় রোধে চট্টগ্রাম ওয়াসার একটি পাইলট প্রকল্পের টেন্ডার এ সপ্তাহে আহ্বান হতে যাচ্ছে। এদিকে ওয়াসার পানি নিয়ে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে দুদক ও সরকারের আরো দু’টি সংস্থা।

চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্র জানায়, ২০০৮ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি উৎপাদন হত দৈনিক ১৮ কোটি লিটার। চাহিদা ছিল দৈনিক ৫০ কোটি লিটার। বর্তমানে পানি উৎপাদন দৈনিক ৩৬ কোটি লিটার। তম্মধ্যে শেখ রাসেল (মদুনাঘাট ) পানি শোধনাগার থেকে ৯ কোটি লিটার, শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার (কর্ণফুলী-১) ১৪ কোটি লিটার, মোহরা পানি শোধনাগার ৯ কোটি লিটার এবং গভীর নলকূপ থেকে ৪ কোটি লিটার উৎপাদন হচ্ছে। আগামী মার্চ অথবা এপ্রিলে কর্ণফুলী-২ প্রকল্প থেকে যুক্ত হবে আরো ১৪ কোটি লিটার।

সূত্র আরো জানায়, ওয়াসার গলার কাটা হচ্ছে নন রেভিনিউ ওয়াটার অর্থাৎ সিস্টেম লস। ওয়াসার পানির সিস্টেম লসের পরিমাণ ২৮ ভাগ থেকে ৩৩ ভাগ। অর্থাৎ পানির এক তৃতীয়াংশ সিস্টেম লসে চলে যায়। এই সিস্টেম লসের নেপথ্যে রয়েছে দুর্নীতি। পানির এই অপচয় ও দুর্নীতিরোধে গত জানুয়ারি থেকে ওয়াসার বিলিং এর অটোমেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর আওতায় সাড়ে তিন কোটি টাকার একটি পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এই প্রকল্পে পরীক্ষমূলকভাবে ওআরনিজাম রোড, বাগমনিরাম, জামালখান ও আগ্রাবাদ এলাকায় তিন হাজার তিনশ’টি তিন ধরণের মিটারের মাধ্যমে বিলিং করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মিটার সমূহের মধ্যে রয়েছে স্মার্ট মিটার, অটোমেটিক মিটার ও প্রিপেইড মিটার। গত ৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ওয়াসার বোর্ড সভায় প্রকল্পের কাজ দ্রুততর করার জন্য অতিসত্বর টেন্ডার আহ্বান করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এদিকে ওয়াসার একটি চক্র এই অটোমেশন পদ্ধতি বানচাল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ বলেন, পাইলট প্রকল্পটি দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এজন্য কয়েক দিনের মধ্যে টেন্ডার আহ্বান করা হবে। ওয়াসার পানি নিয়ে দুর্নীতি সম্পর্কে ওয়াসা বোর্ডের সদস্য কাজী মহসিন বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি হচ্ছে ‘ছাগলে প্রসব করে শৃগালে খায়’ এরকম অবস্থা। দীর্ঘদিন ধরে চলছে পানি নিয়ে দুর্নীতি। এই দুর্নীতিরোধে অটোমেশন পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে।

এদিকে ওয়াসায় দুনীতি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর সরকারের তিনটি সংস্থা পৃথকভাবে তদন্ত শুরু করেছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। অনেক অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিও এই তদন্তের আওতায় আসবে।
উল্লেখ্য, ওয়াসার মিটার রিডার হিসাবে চাকরি করে এক ব্যক্তি বর্তমানে নগরীতে দুটি ভবনের মালিক।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট