চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজের রপ্তানি নিয়ে নানান সংকট তৈরি হওয়ার পর পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। চলমানে এই সংকট নিরসনে দেশের শীর্ষ এস আলম গ্রুপ মিশর ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামি সপ্তাহে আমদানি ঋণপত্র খোলা হবে।
বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজযোগে এ চালানের পেঁয়াজ আসবে চট্টগ্রাম বন্দরে।
এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের একান্ত সচিব মো. আকিজ উদ্দিন পূর্বকোণকে বলেন, বড় পরিসরে বাল্ক ক্যারিয়ারে পেঁয়াজ আমদানি করবে এস আলম গ্রুপ। রেফার কনটেইনার বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিশেষায়িত জাহাজে পেঁয়াজ বন্দরে আনা হবে, যাতে পচে-গলে কিংবা পাতা বের হয়ে নষ্ট না হয়। এ পেঁয়াজ চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের প্রধান প্রধান পাইকারি বাজারে দ্রুত পৌঁছে দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হবে।
এছাড়া মিশর-তুরস্ক থেকে আনা পেঁয়াজ ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) যদি চায়, ট্রাক সেল বা খোলা বাজারে বিক্রির জন্য নিতে পারবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বা লাভের জন্য এ পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে না। এটি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করে। মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে কিছু পেঁয়াজ আমদানি হলেও তা চাহিদার তুলনায় কম। এ অবস্থায় সমুদ্রপথে পেঁয়াজ আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রামের এস আলম গ্রুপ।
পূর্বকোণ/পিআর