চট্টগ্রাম বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সমঝোতার মাধ্যমেই সরানো হবে কাজির দেউড়ির শিশুপার্ক: সুজন

সমঝোতার মাধ্যমেই সরানো হবে কাজির দেউড়ির শিশুপার্ক: সুজন

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ৯:৫০ অপরাহ্ণ

চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, স্বাধীনতার ইতিহাস মুছে দেয়ার অংশ হিসেবে তৎকালীন বিএনপি সরকার ঐতিহাসিক চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সামনে শিশুপার্ক নামের জঞ্জাল তৈরি করেছিল। ঐতিহাসিক জায়গাকে আড়াল করার প্রয়াসে শিশুপার্ক আমরা চাই না।

নগরীর টাইগারপাসের নগর ভবনে প্রশাসকের দপ্তরে চট্টগ্রামে পুরানো সার্কিট হাউসের আঙিনা থেকে শিশুপার্ক অপসারণ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভায়া মিডিয়া বিজনেস সার্ভিসেস লিমিটেড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সুজন এসব কথা বলেন।

সুজন বলেন, আমরা দেখেছি এখানে বসে অনেক অসামাজিক কাজ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ ঐতিহাসিক স্থান রক্ষায় সম্মতি জানিয়েছেন। সেই লক্ষ্যে আমি এ উদ্যোগ নিয়েছি। শিশুপার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মনোমালিন্য কিংবা জোর করে তাদের উচ্ছেদের পক্ষে আমি নই। কারণ এতে তারা ব্যবসায়িক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তবে কীভাবে সম্ভব তা যাচাই-বাছাই ও সমঝোতার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। নাগরিক উদ্যোগের ব্যানারে আমি প্রশাসক থাকার আগে অনেকবার এর প্রতিবাদ ও লেখালেখি করেছি। এখন হয়তো সুযোগ হয়েছে এ স্থানটিকে তার হারানো গৌরব ফিরিয়ে দেয়ার। তাই আমি চেষ্টা করছি। এতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

একাত্তরের স্মৃতিচারণ করে চসিক প্রশাসক বলেন, ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর সকাল সোয়া ৯টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে পাকিস্তানি পতাকা নামিয়ে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয় বলে এটি আমাদের আবেগ ও গৌরবগাথার স্থান। এখান থেকেই আমরা স্বাধীন বাংলার স্বাদ পেলেও তৎকালীন বিএনপি সরকার এ স্মৃতিমাখা স্থানটি পরবর্তী প্রজন্মের মন থেকে মুছে ফেলার হীন মানসে এখানে বিনোদন কেন্দ্র তথা শিশুপার্ক নামের জঞ্জাল সৃষ্টি করেছিল।

নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বলেন, আমার মনে আছে সেদিন ছিল শীতের সকাল। মেঘমুক্ত নীল আকাশের নিচে সূর্যালোকে বাংলার লাল-সবুজ পতাকা অলস ঢেউয়ের মত দুলেছিল। সার্কিট হাউসের দিকে শহরের প্রতিটি প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ, মুক্তিযোদ্ধা, জনতা বাঁধভাঙা স্রোতের মতো ছুটে আসছিলেন। তাদের কণ্ঠে ছিল বিজয়ের জয়ধ্বনি। স্বাধীন সার্বভৌম পতাকাকে এখানেই আনুষ্ঠানিকভাবে স্যালুট জানানো হয়েছে। অথচ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গাকে আমরা হারাতে বসেছি।

বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজি এনামুল হক চৌধুরী, চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, এস্টেট অফিসার মো. কামরুল ইসলাম, ভায়া মিডিয়া বিজনেস সার্ভিসেস লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক নাছির উদ্দিন প্রমুখ।

 

 

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট