চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

পর্যটকের পদচারণায় মুখর বান্দরবান

মিনারুল হক, বান্দরবান

১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ৬:০২ অপরাহ্ণ

পার্বত্য জেলা বান্দরবান আবারো পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ সাতমাস বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ ছিল। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল বান্দরবানের সম্ভাবনাময় পর্যটন খাত। তবে পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হওয়ায় জেলার সবগুলো পর্যটন কেন্দ্র এখন খুলে দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার থেকে চিম্বুক পাহাড়ের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র নীলগিরি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার কথা ছিল। এরআগে বান্দরবান শহরের কাছে নীলাচল, মেঘলা, প্রান্তিক লেক, চিম্বুক ও নীল দিগন্তসহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয় প্রশাসন। এছাড়া জেলার রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি ও আলীকদমসহ এসব এলাকার পাহাড়ি ঝরনাগুলোতেও পর্যটকের আগমন বেড়েছে। পর্যটকদের আগমন বাড়ায় আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে উঠছে গুরুত্বপূর্ণ এই অর্থনৈতিক খাতটি।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখনো পরিস্থিতি পূর্বের মতো স্বাভাবিক হতে আরো বেশকিছু সময় লাগবে। যে তুলনায় পর্যটক আসছে তা স্বাভাবিক নয়। কিন্তু পর্যটকের সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে বলে তারা জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, দেশের অন্যান্য স্থানের পর্যটন কেন্দ্রগুলো বান্দরবানের আগেই খুলে দেয়া হয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় প্রশাসন এতদিন ধরে বন্ধ রেখেছিল বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। গত ২১ আগস্ট খুলে দেয়া হয় বান্দরবান প্রশাসনের পরিচালিত নীলাচল, মেঘলা, প্রান্তিক লেক ও চিম্বুক পর্যটন কেন্দ্র। তবে চিম্বুক পাহাড়ের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র নীলগিরি বন্ধ থাকায় পর্যটকদের আগমন অনেকটাই কম ছিল। সেনাবাহিনী পরিচালিত এই পর্যটনকেন্দ্রটি খুলে দেয়ায় পর্যটকদের আগমন আগের তুলনায় বেড়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
এছাড়া থানচি উপজেলার রেমাক্রি, তিন্দু, নাফাখুম, রুমা উপজেলার বগালেক, কেওক্রাডং, রিজুক ঝর্নাসহ বিভিন্ন জায়গায় পর্যটকদের পদচারণাও বেড়েছে।
জেলার হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি অমল দাস জানান, বান্দরবান শহরে এখন আবাসিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে প্রায় পাঁচ হাজার পর্যটক থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে বান্দরবানের পর্যটন খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সব হোটেল ও মোটেলগুলো বন্ধ ছিল। অনেক কর্মচারীদের ছাঁটাই করা হয়েছে। লোকসানের কারণে অনেক রিসোর্ট বন্ধ হয়ে গেছে। তবে করোনার সংক্রমণ অনেকটাই কমে আসায় পর্যটকদের আগমন বেড়েছে বলে তিনি জানান।
জেলা প্রশাসক দাউদুল ইসলাম জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও বেশকিছু শর্ত সাপেক্ষে পর্যটকদের বান্দরবানে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে। সেই সাথে যারা আসছেন তাদের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ‘নো মাস্ক, নো এন্ট্রি’ আপাতত কঠোরভাবে এসব বিষয় মেনে চলা হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

‍পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট