চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বাঁশখালীতে নির্মাণাধীন ব্রিজ দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে আহত ৯

বাঁশখালীতে নির্মাণাধীন ব্রিজ দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে আহত ৯

বাঁশখালী সংবাদদাতা

১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ৯:৪১ অপরাহ্ণ

বাঁশখালীর মৌলভীবাজার ব্রিজের নির্মাণকাজে বিকল্প চলাচলের জন্য বাঁশ ও তক্তা দিয়ে তৈরি সাঁকোটি গত শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভেঙ্গে গেছে। নির্মাণাধীন ব্রিজের গার্ডারের উপর দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে আজ সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দিনের বেলায় ৯ নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। ব্রিজ পারাপারে বাতি না থাকায় রাতের অন্ধকারে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার শেখেরখীলে জলকদর খালের উপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীন (এলজিইডি) ৩৬.০০ মিটার দৈর্ঘ্যরে পিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণকাজ চলছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নিপা এন্টারপ্রাইজ কাজটি নির্মাণে চুক্তিবদ্ধ হয়। ব্রিজটির প্রাক্কলিত মূল্য ৪ কোটি ২১ লক্ষ ২২ হাজার ৭শ ৭৯ টাকা । এই কাজের চুক্তির মূল্য ধরা হয় ৩ কোটি ৭৯ লক্ষ ১০ হাজার ৫শত ১ টাকা। কাজটি ২০১৭ সালের ৮ই আগস্ট শুরু হয়ে।২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়।

স্থানীয়রা জানান, ছনুয়া শেখেরখীল সড়কে জলকদর খালের উপর এই নির্মাণাধীন ব্রিজ ব্যবহার করে কুতুবদিয়াসহ প্রতিদিন এই সড়ক ব্যবহার করে শেখেরখীল ও ছনুয়া ইউনিয়নের স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, চাকুরীজীবি, ব্যবসায়ী, রোগী বহনকারী গাড়িসহ বিভিন্ন পেশার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ চলাচল করে থাকেন। সেতু নির্মাণের সময় বিকল্পভাবে তৈরি করা বাঁশ ও গাছের তক্তা দিয়ে তৈরি করা বাঁশের সাঁকোটি নড়েবড়ে অবস্থায় ছিল। গত রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) হঠাৎ ভেঙ্গে পড়ে যায়। এই সময় মানুষ নৌকা নিয়ে পারাপার করার পর ঠিকাদারের লোকজন নির্মাণাধীন ব্রিজের পিসি গার্ডারের উপর দিয়ে সাধারণ মানুষ চলাচলের ব্যবস্থা করে দেন। এই ব্রিজ পারাপার হতে গিয়ে গত রবিবার ও সোমবার দুদিনই দিনের বেলায় আহত হয়েছেন ৯ নারী-পুরষ। আহতরা হলেন- নুরুল কাদের (৬৫), উকিল আহমদ (৬২), শহিদুল ইসলাম (৫৪), মনোয়ারা বেগম (৪৬), মোস্তফা (৪৪), ছকিনা (৩৫), বেলাল উদ্দিন (৩২), নুর ফোরকান (১৪) ও আঁখি (১২)।

শেখেরখীল ইউনিয়ন পরিষদের বাসিন্দা সমাজসেবক আমানউল্লাহ বলেন, এই সড়ক ব্যবহার করে ৩ ইউনিয়নের বাসিন্দা ছাড়াও কুতুবদিয়ার হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। আজ সোমবার ৮-১০ জন নারী-পুরুষ নির্মাণাধীন ব্রিজটি পারাপার হতে গিয়ে কাপড় ছিড়ে গিয়ে আহত হয়েছে। আহরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

শেখেরখীল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইয়াছিন বলেন, জলকদর খালের উপর নির্মিত মৌলভীবাজার ব্রিজটি ২ বছর আগেই কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু শেষ হচ্ছে না। বাঁশের সাকোটিও ভেঙ্গে গেছে। ঠিকাদারকে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করার জন্য সার্বিক সহযোগিতা করা হয়েছিল। কিন্তু সেইদিকে ঠিকাদারের লোকজনের কোন নজর নেই। ব্রিজের উপর দিয়ে পারাপারের যে ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে তাতে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। বাঁশের সাকোটি ভেঙ্গে যাওয়ায় ব্রিজের গার্ডারের উপর দিয়ে মৃত্যুর ঝুকি নিয়ে রাতের অন্ধকারে মানুষ পারাপার হচ্ছে। ঠিকাদারের কোন মাথাব্যথা নেই। বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, বাঁশখালী মৌলভীবাজার ব্রিজটি নির্মাণাধীন ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার জন্য বারবার বলা হয়েছে। সে সময় বর্ধিতকরণ করেছে। বাঁশের সাকোটির নির্মাণের জন্য বলা হয়েছে। মানুষ পরাপারের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বাঁশেকাটের ব্রিজটি বড় বোটে ভেঙ্গে ফেলেছে। আমরা কি করব? সব দোষ কি আমার উপর?

 

 

 

 

পূর্বকোণ/অনুপম-আরপি

 

 

 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট