চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

ফিল্ড হাসপাতাল- আইসোলেশন সেন্টারগুলোর আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন প্রকাশের আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক

১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ১০:১৪ অপরাহ্ণ

মহামারি করোনাকালে চট্টগ্রামে ব্যক্তি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে গড়ে উঠা ফিল্ড হাসপাতাল ও আইসোলেশন সেন্টারসমুহের অতুলনীয় অবদানের কথা স্বীকার করে আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন প্রকাশের আহব্বান জানিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক( সুজন) চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আকতার কবির। আজ শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টায় ব্যক্তিগত আইডিতে পোস্ট দিয়ে তিনি এই আহ্বান জানান।

পোস্টে তিনি লিখেন, মহামারিতে নিজের জীবন বিপন্ন করে যারা মানুষের সেবা করতে এগিয়ে এসেছেন এই জনপদের মানুষ হিসেবে আমরা তাদের কাছে অশেষ কৃতজ্ঞ। কিন্তু এই মহামারিই শেষ মহামারি নয়। যদিও এখন করোনা নির্মূল করা সম্ভব হয়নি। তবে মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে অনেক ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান এ সকল ফিল্ড হাসপাতাল ও কয়েকটি আইসোলেশন সেন্টারকে অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন ।

আকতার কবির বলেন, তথ্যনির্ভর সূত্রে জেনেছি শুধু একটি ফিল্ড হাসপাতালকে ৯ সহস্রাধিক ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান সাধ্যানুযায়ী অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন। যারা মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন তাঁদের নাম এবং প্রদত্ত অর্থের পরিমানের তালিকাটি যদি স্বচ্ছতার সাথে প্রকাশ করা হয়, তাহলে মহান কাজে অবদানকারীদের বিষয়ে কোন দুর্জনও আঙ্গুল তুলতে পারবে না । অন্যথায় ভবিষ্যতে আরও কোন বড় দুর্যোগ কিংবা আরো ভয়াবহ চেহারায় ধ্বংসযজ্ঞ চালালে তখন এধরণের সহযোগিতা পাওয়া দুরূহ হতে পারে। এ জন্যেই স্বচ্ছতা খুবই জরুরি উল্লেখ করে এই আইনজীবী বলেন, অন্যের প্রদত্ত কষ্টার্জিত অর্থের সর্বোত্তম সদব্যবহার জরুরি এবং সবার নিকট সেটাই প্রত্যাশিত।

এমন আহ্বানের জানতে চাইলে এডভোকেট আকতার কবির পূর্বকোণ অনলাইনকে বলেন, মানুষ যেভাবে সাহায্য নিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন, প্রতিদানস্বরূপ তিনি যদি দেখেন তার দান বৃথা যায়নি, সদ্ব্যবহার হয়েছে, তখন মানুষ উৎসাহবোধ করবে। অন্যরাও ভবিষ্যতে অনুপ্রাণিত হবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব দাতার নাম, প্রদত্ত অর্থের পরিমানের তালিকা এবং ব্যয়ের পরিমান প্রকাশ করলে মহৎ কাজটি পরিপূর্ণতা পাবে। একইসঙ্গে আত্মতৃপ্তি ও দায়মুক্তির পথ প্রশস্ত হবে বলে উল্লেখ করেন আকতার কবির।

পূর্বকোণ / আরআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট