চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

যতক্ষণ অভিযান ততক্ষণ ফাঁকা

কোন নির্দেশনা মানছে না হকাররা, নিত্য যানজট

নিজস্ব প্রতিবেদক

৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ২:১০ অপরাহ্ণ

সিটি করপোরেশনের কোনো নির্দেশনাই মানছে না বহদ্দারহাট মোড়ের হকাররা। সড়কজুড়ে ভাসমান হকারদের রাজত্ব। এতে সড়কে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিদিন লেগে রয়েছে যানজট। এতে যাত্রীরা প্রতিদিন শত শত শ্রমঘণ্টা হারাচ্ছে। অথচ সড়ক দখল করে ভাসমান দোকান না বসানোর নির্দেশনা দিয়েছে চসিক।
গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, বড় আকারের ছাতা টাঙিয়ে ভ্যানে নানা ধরনের পসরা সাজিয়ে পণ্য বিক্রি চলছে। মেয়েদের প্রসাধনী থেকে শুরু করে ছেলেদের শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্টসহ ফলের দোকান বসানো হয়েছে সড়কের ওপর। ভ্যানে চুলা বসিয়ে খাবারের দোকানও রয়েছে। এসব পণ্য কেনার জন্য দোকানগুলোর সামনে ভিড় করছেন ক্রেতারা। ফুটপাত থেকে শুরু করে সড়কের অর্ধেক পর্যন্ত দখল নিয়েছে হকাররা। এতে যান চলাচলের পথ সংকুচিত হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, ক্রেতারা ঠাসাঠাসি করে ক্রয় করছে এসব পণ্য। মানা হচ্ছে না নূন্যতম সামাজিক দূরত্ব। বেশির ভাগ মানুষের মুখে নেই মাস্ক। অবাধে চলাফেরা করছে পথচারীরা।
স্থানীয়রা জানান, ভাসমান হকারদের কারণে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বেকায়দায় রয়েছে। তারা ভ্যানে করে ছোট ছোট দোকান বসিয়ে ব্যবসা করছে। আর বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা লাখ লাখ টাকা পুঁজি দিয়েও এখন ব্যবসা করতে পারছে না। কারণ হকাররা রাস্তা দখল করে রাখায় প্রতিদিন যানজট লেগে থাকে। ক্রেতারা বহদ্দারহাট এলাকা মার্কেট ও বিপণীকেন্দ্রগুলো থেকে বিমুখ হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন কিছুদিন আগে এই এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন। সে সময়ে সড়কে কোনো হকার ছিল না। ছিল না যানজট। স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল ছিল।
হকারদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, পুলিশ ও স্থানীয় কিছু নেতা সড়কে অবৈধ দোকান বসাতে সহায়তা করে আসছে। এসব অবৈধ দোকান থেকে দৈনিক ভিত্তিতে চাঁদা নেয় পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ তারেকুজ্জামান মৌলভী বলেন, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে ভাসমান হকারদের এ ব্যবসা। তবে বিকেল থেকে বেশি ভিড় করেন। এ সময়তো এ এলাকায় হাঁটাও যায় না। সড়কের দুই পাশে প্রায় ২০ ফুট জায়গাই ভাসমান হকারদের দখলে। যার কারণে পথচারী হাঁটার জায়গা অনেকটা সংকুচিত হয়েছে। তাই দেখা যায় পথচারিরা সড়কের উপর দিয়ে বিপদজনকভাবে রাস্তা পার হয়। এখানে চলার পথে অনেকেই ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। বিশেষ করে নারী পথচারী ও শিশুরা প্রায়শই বিপদে পড়েন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, শুধু বহদ্দারহাটই নয়, পুরো চট্টগ্রাম জুড়েই অবৈধ স্থাপনা ও নানারকম দখল রাজত্ব বিদ্যমান। আমি এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে বহদ্দারহাট এলাকায় আবার যাওয়া হবে। আমাদের জনবল কম। তাই চাইলে একসাথে সব কাজ করতে পারছি না। যতদিন সময় পাবো আমি কাজ করবো। চেষ্টা করবো সবাইকে সুন্দর একটা শহর উপহার দিতে।
পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট