চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

চসিক প্রশাসকের সাথে সারাদিন ইপসার যুবপ্রতিনিধি

নিজস্ব প্রতিবেদক

৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ৯:৫৫ অপরাহ্ণ

মুহাম্মদ হেফাজুর রশিদ। প্রগতিশীল যুব সংঘের প্রতিষ্ঠাতা এই যুবক গতকাল রবিবার সারাদিন ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনর প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের সাথে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইপসার প্রতিনিধি হিসেবে তিনি অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের অংশ হিসেবে প্রশাসকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে তার সাথে সারাদিন থাকেন এবং বিভিন্ন কর্মকা- পর্যবেক্ষণ করেন। পূর্বকোণের কাছে তা তুলে ধরেন হেফাজুর।

প্রশাসক সকাল ১০টায় অফিসে প্রবেশের সময় তার সাথে প্রবেশ করেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইপসার যুব প্রতিনিধি মুহাম্মদ হেফাজুর রশিদ। অফিসের চেয়ারে বসেই প্রশাসক ফাইলে স্বাক্ষর করা শুরু করেন। কিছু ফাইল একটু উল্টে-পাল্টে দেখে স্বাক্ষর করেন। এসময় তাকে বেশ সতর্ক মনে হল। প্রশাসকের টেবিলের বিপরীত পাশে বসে এসব দেখছিলেন যুব প্রতিনিধি হেফাজুর। চসিকের মত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিশাল প্রতিষ্ঠানের প্রশাসকের সাথে দিনটি শুরু করেন এভাবেই। যতক্ষণ অফিসে ছিলেন ততক্ষণ মুগ্ধ হয়ে প্রশাসকের কার্যক্রম অবলোকন করেছেন। দেখেছেন, কাজের ফাঁকে দক্ষতার সাথে কিভাবে সাক্ষাতপ্রার্থীদের সাথে কথা বলেছেন। তাদেরকে সন্তোষ্ট করে বিদায় দিয়েছেন। এর মাঝে আসেন চট্টগ্রামের ফিল্ড হসপিটালের একটি প্রতিনিধি দল ও হসপিটালের চেয়ারম্যান ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া। তিনি প্রশাসকের হাতে একটি সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।

করোনাকালে চট্টগ্রামবাসীর চিকিৎসা সেবায় অবদানের জন্য প্রশাসকও ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়ার ভুয়সী প্রশংসা করেন। এরপর চট্টগ্রাম লাইভ নামক একটি অনলাইন টিভি চ্যানেলে তিনি সাক্ষাৎকারে তিনি নগরীর ফুটপাত দখলমুক্ত ও যানজট নিরসনের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। এরপর চট্টগ্রাম ওয়াসার সাথে সমন্বয় সভা করে খুলশীস্থ ভারতীয় সহকারী হাই কমিশন অফিসে যান। সাড়ে ১২ টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের একটি প্রতিনিধি দল এসে পৌরকর পরিশোধ করেন। বিকালে বের হন রাস্তায়। স্ট্যান্ড রোডের কাজ পরিদর্শন করেন ও দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন। এরপর নিউ মার্কেটের আশপাশের অবৈধভাবে বসা হকারদের নির্ধারিত সময়ে নির্দিষ্ট পোশাক করে ব্যবসা করার নির্দেশ দেন। ফলমন্ডি এলাকায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কথা বলেন এবং দোকানদারদেরকে তাদের আশপাশ পরিস্কার রাখার আহবান জানান।

সারাদিন প্রশাসকের সাথে কাটানোর অনুভুতি প্রসঙ্গে হেফাজুর বলেন, এটা একটা অন্যরকম অনুভুতি। আমি দেখেছি একদিনে অসংখ্য বিষয় তিনি দক্ষতার সাথে সামাল দিয়েছেন। তিনি একজন যুববান্ধব প্রশাসক। যুবদের কাজে উৎসাহ দেন। তার কাজ দেখে তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, আগামি নেতৃত্ব যুবরাই দেবে।
ইপসার প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফারহানা ইদ্রিস তাদের এই আয়োজনের লক্ষ্য প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৩৭ শতাংশ যুবজনগোষ্টি। তারাই এদেশকে এগিয়ে নেবে। তারা যাতে নেতৃত্বগুন ধারণ করতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা হাজারো কাজের চাপের মধ্যে আত্মবিশ্বাস রেখে কাজ করেন। মূলত তরুণদের মাঝে সেই আত্মবিশ্বাস এবং নেতৃত্বগুণ ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যেই একজন যুব প্রতিনিধিকে প্রশাসকের সারাদিনের কাজ দেখার ব্যবস্থা করেছি।

পূর্বকোণ / আরআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট