চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সহযোগিতার জন্য নগরবাসীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ: বিদায়ী সিএমপি কমিশনার

সহযোগিতার জন্য নগরবাসীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ: বিদায়ী সিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক

৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ৬:৫০ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সদ্য বিদায়ী কমিশনার মাহবুবর রহমান বিদায়কালে স্মৃতিচারণ করে বলেছেন, চট্টগ্রাম নগরবাসী সত্যিকার বড় মাপের মানুষ। সত্যিকার অর্থে চট্টগ্রাম শহর যেমন বিশাল, চট্টগ্রামের অবয়ব যেমন বিশাল, এখানকার মানুষের মন-মানসিকতাও তেমন বিশাল। চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়েছি। আপনারা সকলে আমাকে সহায়তা করেছেন। আপনাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

নগরীর কোতয়ালী থানায় দেশের সর্বপ্রথম নাগরিকদের জন্য ‘হ্যালো এম্বুলেন্স’ সেবা চালু ও থানার মূল ফটকের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আজ শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিদায়ী কমিশনার বলেন, আমরা স্বীকার করি বা না করি আবহমানকাল থেকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশের একটি দূরত্ব আছে। জন্ম থেকে বড় হয়ে উঠার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সম্পর্কে নেতিবাচক যে ধারণা তৈরি হয়ে আছে,। এই ধারণা থেকে জনসাধারনকে বের করে আনার লক্ষ্যে হতে নিয়েছি বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম। কাজ করতে গিয়ে সারাদেশে অনেক পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আমি নিজেও আক্রান্ত হয়েছিলাম। আল্লাহর রহমতে আমরা বেশিরভাগ সদস্যই সুস্থ হয়েছি।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মাহবুবর রহমান বলেন, ভবিষ্যৎ সিএমপি কমিশনার কিভাবে আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন সে বিষয়ে জানি না। তবে প্রতিদিন সকালে আমি লোকাল পত্রিকা পড়ি। আমার অফিসে তিনটা পত্রিকা রাখা হয়। আমি অনলাইন নিউজের সাথেও সম্পৃক্ত থাকতাম। তাৎক্ষণিকভাবে সব খবর পেয়ে যেতাম। গণমাধ্যমের তথ্যগুলোর সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নিতাম। সঠিক তথ্য না পেলে গুজব ছড়াবে- এই আশঙ্কা থেকে আমি ৮০-৮৫ ভাগ, কখনো কখনো ৯৫ ভাগ সাংবাদিকদের ফোন রিসিভ করতাম। কোনো সময় কল রিসিভ করতে না পারলে পরে ফোন ব্যাক করতাম।

তিনি আরও বলেন, সবার সঙ্গে আমার একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে বলে আমার ধারণা। কারও কারও সাথে হয়তো ফিজিক্যালি দেখা হয়নি। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আপনাদের কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছি। এই শান্তিটুকু নিয়ে যাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্তি পুলিশ কমিশনার (অর্থ ও প্রশাসন) আমেনা বেগম, অতিরিক্তি পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) মোস্তাক আহমেদ খান, অতিরিক্তি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) আমির জাফর, উপ-পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক (উত্তর) মিলন মাহমুদ, উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) আব্দুর রউফ, সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতয়ালী জোন) নোবেল চাকমা।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকালীন সময়ে গৃহীত মানবিক পুলিশিং কার্যক্রম বাংলাদেশ পুলিশের জন্য দেশব্যাপী হয়ে উঠেছিল অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে। অসহায়দের মাঝে নিয়মিত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় হাসপাতাল স্থাপন, হাসপাতালে ডাক্তারদের যাতায়াতে বাস সার্ভিস চালুকরণ, ডোর টু ডোর শপ চালুকরণ ইত্যাদি উদ্যোগের মাধ্যমে নগরবাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান।

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট