চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সন্দ্বীপে গর্ভবতীকে উপর্যুপরি লাথি, এস আই ক্লোজড

নিজস্ব সংবাদদাতা

৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ৫:৩৩ অপরাহ্ণ

সন্দ্বীপে এক পুলিশ সদস্যের লাথির আঘাতে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এক গর্ভবতী নারী। আহত গর্ভবতী মহিলার নাম নিপা(৩৫)। তিনি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

আহত নিপা জানান, ১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার চার জন লোক আমাদের বাড়িতে এসে জুয়েলকে খুঁজতে থাকে। তিনজন ঘরে ঢুকলে আমি তাদের পরিচয় জানতে চাই। এস আই কাউছার তাকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে জুয়েলের রুমের দিকে আসতেই আমি দরজায় দাড়াই। এস আই কাউছার আমাকে হঠাৎ চড় থাপ্পড় সহ মারধর করে মাটিতে ফেলে দিয়ে লাথি মারতে থাকে। আমার হাত-পা লাথির আঘাতে ফুলে গেছে। আমি নিজেকে গর্ভবতী বলে মারতে নিষেধ করি। কাউছার তা শোনেননি। আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে আমার মা জোসনা বেগম (৬০) কে পুলিশ মারধর করে।

এস আই কাউছারের লাথির আঘাতে অন্তঃসত্ত্বা নিপার পেট থেকে পানি বের হওয়া শুরু হলে তাকে স্থানীয় সন্দ্বীপ মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। পরদিন বুধবার সেখান থেকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম আনা হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলুল করিম জানান, নিপার পেটে আঘাতের কারণে তার পেট থেকে পানি বের হওয়া শুরু হয়। আমরা ধারণা করছি তার পেটে রক্তক্ষরণ হয়েছে। এবং বাচ্চার অবস্থা খারাপের দিকে যাওয়া শুরু করার কারণে তাকে চট্টগ্রাম পাঠানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

জুয়েল ও তার আমেরিকা প্রবাসী চাচার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ ছিল। এক সপ্তাহ আগে চাচার ঘর নির্মাণের সময় মিস্ত্রিকে মারধরের অভিযোগে চাচী ইসরাত জাহান বাদী হয়ে সন্দ্বীপ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। জুয়েলকে সন্দ্বীপ থানা থেকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ঘটনার পরপরই সন্দ্বীপ থানা থেকে এস আই কাউছারকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। সন্দ্বীপ থানার পুলিশের (ওসি) বশির আহম্মদ খান বলেন, এই ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। কাউছার আমাকে না জানিয়ে আসামি ধরতে গেছে। ঘটনাটি শুনার পরপরই আমি কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে তাকে ক্লোজ করা হয়েছে।
তবে ঘটনাটি সাজানো বলে দাবি করে এস আই কাউছার জানান, আমি ওসি স্যারকে জানিয়েই আসামি ধরতে গেছি। আমি কোন মহিলাকে আহত করিনি। এগুলো করে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।
পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট