চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

‘রাজনৈতিক মতানৈক্যের কারণে জিয়ার অবদানকে অবমূল্যায়ন কাম্য নয়’

‘রাজনৈতিক মতানৈক্যের কারণে জিয়ার অবদানকে অবমূল্যায়ন কাম্য নয়’

বিজ্ঞপ্তি

২৭ আগস্ট, ২০২০ | ৭:৩৫ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ইতিহাসের অংশ। রাজনৈতিক বিদ্ধেষপ্রসূত কারণে কেউ তা ম্লান করতে চাইলেও পারবেন না। স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাসের আকাশে জিয়াউর রহমান এক উজ্জল নক্ষত্র। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন আবার নিজে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। একজন সেক্টর কমান্ডার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছেন। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে শেখ মুজিবুর রহমান সরকারই জিয়াউর রহমানকে বীর উত্তম উপাধি দিয়েছিলেন। এখন রাজনৈতিক মতানৈক্যের কারণে দেশ ও জাতির জন্য তার অবদানকে অবমূল্যায়ন করা কাম্য হতে পারে না। স্বাধীনতাযুদ্ধে তার অবদানকে যারা প্রশ্নবিদ্ধ করতে চান, তারা মিথ্যাচারের বেসাতি করছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর বিএনপি’র প্রস্তুতি সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ডা. শাহাদাত বলেন, জিয়াউর রহমানের শান্তি ও উন্নয়নের রাজনীতি মানুষকে উজ্জীবিত করেছিল। আর এখানেই তার সাফল্যের সূত্রপাত। তিনি এদেশের মানুষের মনের কথার প্রতিধ্বনি ঘটাতে পেরেছিলেন তার কাজে। তার উন্নয়ন কর্মসূচি মানুষ সাদরেই গ্রহণ করেছিল।

মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, জিয়াউর রহমানের ব্যক্তিগত সততা ও স্বাধীনতাযুদ্ধে ঐতিহাসিক ভূমিকায় তার একটি
ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছিল জনগণের মধ্যে। ফলে ১৯৭৮ সালে তিনি যখন বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন, তখন তাতে সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ
স্বতস্ফূর্তভাবে যোগ দেন। তিনি প্রচলিত ধারার রাজনীতির বাইরে নতুন একটি রাজনৈতিক তত্ত্ব মানুষের সামনে হাজির করেন। জনগণ তার সে রাজনীতিকে গ্রহণ করেছিল। তার ১৯ দফা কর্মসূচিকে এদেশের মানুষ তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির পথনির্দেশক বলেই গ্রহণ করেছিল।

মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েই চুপ করে বসে ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত যুদ্ধের মাঠে থেকে দেশকে স্বাধীন করেছেন। ঘোষণা দিয়ে সবাইকে যুদ্ধে যোগদানের আহ্বান এবং নিজেও একইসাথে যুদ্ধে শামিল হওয়ার নজির একমাত্র শহীদ জিয়ারই আছে। তাই শহীদ জিয়াই সর্বোৎকৃষ্ট মুক্তিযোদ্ধা।

প্রস্তুতি সভায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টায় দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ১১টায় ষোলশহর ২ নম্বর গেইটে অবস্থিত বিপ্লব উদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বিকাল ৩টায় নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে আলোচনা সভা। তাছাড়া ৪১টি ওয়ার্ডে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর
কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, সামশুল আলম, এড. আবদুস সাত্তার, হাজী মোহাম্মদ আলী, নাজিমুর রহমান, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, জাহিদুল করিম কচি, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আহমেদুল আলম রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, মো. কামরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, সম্পাদকবৃন্দ মোহাম্মদ আলী মিঠু, এড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হামিদ হোসেন, মনোয়ারা বেগম মনি, ফাতেমা বাদশা, হাজী নুরুর আকতার, ডা. এস এম সরওয়ার আলম, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, থানা বিএনপির সভাপতি মোশাররফ হোসেন ডিপটি, মো. সেকান্দর, ডা. নুরুল আবছার, নগর বিএনপির সহসম্পাদকবৃন্দ এ কে এম পেয়ারু, আবদুল হালিম স্বপন, ইকবাল হোসেন, মো. সেলিম, রফিকুল ইসলাম, ইদ্রিস আলী, মো. শাহজাহান, এড. সেলিম উদ্দিন শাহীন, আরিফ মেহেদী, আলমগীর নূর, আলী আজম, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ জাকির হোসেন, আফতাবুর রহমান শাহীন, নগর সদস্য মালেক ফারুকী, মো. ইলিয়াছ, আলমগীর আলী, আতিকুর রহমান, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী নবাব খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, ফারুক আহমেদ, মো. আসলাম, খাজা আলাউদ্দিন, এস এম ফরিদুল আলম, আশরাফ আহমেদ, রাসেল পারভেজ
সুজন, রফিক চৌধুরী, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম হালিম বাবলু, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, মো. হাসান, হাজী মো. এমরান, সিরাজুল ইসলাম মুনসি, হাজী মো. জাহেদ, জিয়াউর রহমান জিয়া, আবু ফয়েজ, আনোয়ার হোসেন আরজু, আবু শাহেদ হারুন, অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ হাজী নুরুল হক, মনিরুজ্জমান টিটু, আমান উল্লাহ আমান, আলী মর্তুজা খান, মামুনুর রশিদ শিপন, মনিরুজ্জামান মুরাদ, তানভীর মল্লিক, আসাদুর রহমান টিপু, রাসেল নিজাম, সালাহ উদ্দিন, আলা উদ্দিন প্রমুখ।

 

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট