চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধনে হামলা: বাঁশখালীর সাংসদের এপিএসসহ আটক ৪

মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধনে হামলা: বাঁশখালীর সাংসদের এপিএসসহ আটক ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ আগস্ট, ২০২০ | ৮:৫১ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমানের এপিএস মোস্তাফিজুর রহমান রাসেলসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। নগরীর প্রেসক্লাবের সামনে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ড আয়োজিত মানববন্ধনে হামলার মামলায় তাদের আটক করা হয়। কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আটক অপর তিনজন হলেন, বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের পিএস আবুল কালাম, ১২ নম্বর ইউনিয়ন শেখেরখীলের মিজানুর রহমান তালুকদার ও এনামুল হক। মামলায় আরও অভিযুক্ত অন্যরা হলেন: জিল্লুল করিম শরীফ, মৌলভী আক্তার হোসেন, ফজলুল করিম ফজু, আবুল কালাম চৌধুরী, আবুল ছালেহ, মাহবুবুর রহমান, হারুনুর রশিদ, মিজানুর রহমান, সেলিম উদ্দিন চৌধুরী, খোরশেদুল আলম, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, মনজুরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, এনামুল হক, আবুল মোমেন, মো. সেলিম, মো. হেলাল, নাসির উদ্দিন, দীপেস চক্রবর্তী, মোজাম্মেল, সৈয়দুল ইসলাম, মোরশেদুর রহমান নাদিম ও মনির উদ্দিন বাবু। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এর আগে আজ সোমবার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে বাঁশখালীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান কর্মসূচিতে সশস্ত্র হামলায় আহত হন মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিকসহ অন্তত ১৫ জন। হামলার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা বাঁশখালীর সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমানের অনুসারীদের দায়ী করেন।

সাংবাদিকদের ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমানের এপিএস এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল ও বাঁশখালী পৌর মেয়র সেলিমুল হকের যৌথ নেতৃত্বে একটি মিছিল কর্মসূচি শুরুর পর অবস্থান কর্মসূচির দিকে এগিয়ে আসে। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় মিছিলের লোকজন লাঠি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা চালায়। এতে কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়।

এর আগে সকালে চট্টগ্রাম জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ব্যানারে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে। মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী মৌলভী সৈয়দের বড় ভাই ডা. আলী আশরাফকে মৃত্যুর পর সম্মাননা না জানানো, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে স্থানীয় সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমানের কটূক্তির প্রতিবাদ, বাঁশখালীতে মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধনে হামলার প্রতিবাদে এ কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়। কর্মসূচিতে সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। কর্মসূচি শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে।

 

 

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট