চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

অটোমেটিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার উদ্ভাবন মেরিন একাডেমির

অটোমেটিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার উদ্ভাবন মেরিন একাডেমির

নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ আগস্ট, ২০২০ | ৭:০৫ অপরাহ্ণ

করোনা প্রতিরোধে এবার সহায়ক বিশেষ যন্ত্র হিসেবে ‘অটোমেটিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার’ উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি। কোনো কিছু স্পর্শ ছাড়াই য্ন্ত্রটির সাহায্যে সাহায্যে খুব দ্রুত বেশি সংখ্যক মানুষ হাত জীবাণুমুক্ত করতে সক্ষম।

এর আগে এই একাডেমিতেই করোনা আক্রান্ত রোগীদের শ্বাসকষ্ট প্রশমনে করোনাকালে ‘নিউমেটিক কন্ট্রোল নিয়ন্ত্রিত ভেন্টিলেটর’ ও মাস্কসহ নিত্যব্যবহার্য্য জিনিসপত্র জীবাণুমুক্ত করণে ‘আল্ট্রাভায়োলেট ডিসইফেক্ট্যান্ট ওভেন’ উদ্ভাবিত হয়েছিল।

একাডেমির কমান্ড্যান্ট নৌপ্রকৌশলী ড. সাজিদ হোসেন বলেন, দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মতোই একাডেমির ক্যাডেট প্রশিক্ষণও শীঘ্রই চালু হবে। তখন করোনা মোকাবেলায় মৌলিক স্বাস্থ্যবিধি হিসেবে ঘন ঘন হাত জীবাণুমুক্ত করা- এটা সব শিক্ষার্থীকে মেনে চলা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব অফিস-কারখানায় কর্মরত সকলেই যাতে মাত্র ২-১ সেকেন্ডে, সহজে ও কম খরচে হাত জীবাণুমুক্ত করতে পারে সেই চিন্তা থেকে আমাদের এই উদ্ভাবনের সূত্রপাত। ইতিমধ্যে আমাদের নিয়ন্ত্রণকারী নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে অটোমেটিক হ্যান্ড স্যানিটাইজারটি উপস্থাপন করা হয়েছে ও প্রশংসিত হয়েছে। যন্ত্রটির আরও উন্নতি সাধন ও সহজলভ্য করার জন্যও নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

যন্ত্রটির ডিজাইনার, একাডেমির ল্যাব প্রশিক্ষক মু. খালেদ সালাউদ্দিন জানান, উদ্ভাবিত এ যন্ত্রটি খুবই দ্রুত, সহজে ও স্পর্শহীনভাবে হাত জীবাণুমুক্ত করতে সক্ষম। যন্ত্রটি ব্যবহারের সময় কোথাও কোনো রকম স্পর্শ করার প্রয়োজন না থাকার কারণে এটি বারবার ব্যবহারের পরও সংক্রমণের সম্ভাবনা শূন্য। পরিত্যক্ত প্লাস্টিক বোতল ও অন্যান্য জিনিস যন্ত্রটির কাঠামো নির্মাণে ব্যবহারের ফলে খুবই কম খরচে যন্ত্রটি তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া যন্ত্রটিতে জীবাণুনাশক ব্যবহারে ‘লস-রিডাকশন ফ্লুইড-মেকানিজম’যুক্ত করায় সব ধরনের অপচয় সম্পূর্ণভাবে রোধ সম্ভব। এ কারণে প্রচলিত ম্যানুয়াল হ্যান্ড-স্যানিটাইজার থেকে কেমিকেল খরচ সাশ্রয়ী হবে।

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট