চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে ৮ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ আগস্ট, ২০২০ | ৯:২২ অপরাহ্ণ

দুই লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে ক্রসফায়ারের হুমকি এবং পরবর্তী সময়ে ইয়াবা সংক্রান্ত মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে আট পুলিশ সদস্যসহ মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে এক ব্যবসায়ী। আদালত মামলা গ্রহণ করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উত্তর জোনের উপকমিশনারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আজ বুধবার (১৯ আগস্ট) চট্টগ্রামের এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন মুরাদের আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন মো. আব্দুল ওয়াহেদ নামের এক ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।

অভিযুক্তরা হলেন— নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম, উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নুর নবী ও গোলাম মোহাম্মদ নাছিম হোসেন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) অমিত ভট্টাচার্য, মো. শরিফুল ইসলাম ও আশরাফুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. সোলাইমান ও ফৌজুল করিম এবং পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত রুবেল।

মামলার বাদী আব্দুল ওয়াহেদ নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার আরেফিন নগর এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে এবং সুমাইয়া এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক।

বাদীর আইনজীবী মোহাম্মদ আলমগীর জানান, বাদী ওয়াহেদ ব্যবসার পাশাপাশি বায়েজিদ এলাকায় জমি বিক্রির মধ্যস্থতা করেন। গত ১৩ জুলাই রাতে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা সোর্স রুবেলসহ তার বাসায় যায়। পুলিশের হটলাইন নম্বর-৯৯৯-এ কল পেয়ে ওই বাসায় অভিযান চালানোর কথা জানান তারা। তাকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে থানায় নিয়ে গিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।

তিনি আরও বলেন, চাঁদা না দিলে ক্রসফায়ারের হুমকি দেওয়া হয়। টাকা দিতে না পারলে তার বাসা থেকে ইয়াবা উদ্ধারের মিথ্যা অভিযোগ এনে একটি মামলায় তাকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। ওই মামলায় জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ওয়াহেদ মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলা গ্রহণ করে নগর পুলিশের উপকমিশনারকে (উত্তর) তদন্ত করে ১ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

পূর্বকোণ / আরআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট