চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

পিসি রোড থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে দুই মাজারের অতিরিক্ত জায়গা

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ আগস্ট, ২০২০ | ১:৫৩ অপরাহ্ণ

জনদুর্ভোগ লাঘবে পোর্ট কানেকটিং সড়কের পাশে অবস্থিত হযরত মনির উল্লাহ শাহ ও হযরত মুনছুর আলী শাহ (র.) মাজার শরীফ দু’টির অতিরিক্ত অংশ সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। গতকাল রবিবার থেকে এই কাজ শুরু করেন মাজার পরিচালনা কমিটি। মূলত চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে নিজ দায়িত্বে মাজার পরিচালনা কমিটি এই কাজ শুরু করেন। এর আগে পোর্ট কানেকটিং সড়কের চলমান উন্নয়ন কাজে দীর্ঘসূত্রিতা হওয়ায় চসিকের প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই সড়কটি উন্নয়ন কাজ তরান্বিত করার জন্য সচেষ্ট হন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন মাজার স্থানটি সরেজমিনে পরিদর্শন করতে গিয়ে বলেন, যারা সড়কের দু’পাশের ড্রেন এবং ফুটপাত দখল করে মালামাল রেখেছেন তারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিজ দায়িত্বে সরিয়ে না নিলে জরিমানাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পিসি রোডে মাজারের মূল রওজা শরীফ রেখে যে অংশ সড়কটিতে পরেছে তা নিজের উদ্যোগে অপসারণ করায় রাস্তাটি প্রশস্ত করতে কোন বাধা রইল না। গত ১১ আগস্ট সাগরিকা মোড় হতে নয়া বাজার পর্যন্ত সমস্ত অবৈধ স্থাপনা, ফুটপাতের উপর বসানো দোকানপাট ও স্তূপকরা মালামাল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
ওই সময়ে তিনি এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘রাস্তার দুইপাশে অবস্থিত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান যারা অবৈধভাবে চসিকের ড্রেন ও ফুটপাত দখল করে জনচলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে তাদেরকে আজকে আমি আপনাদের একজন হয়ে বলে গেলাম, আপনারা আপনাদের নিজ দায়িত্বে এসব অপসারণ করেন, না হয় ১২ আগস্ট বিকেল থেকে আমাকে দেখবেন প্রশাসকের ভূমিকায়। এসব অবৈধ স্থাপনা না সরালে আগামী ২৪ ঘণ্টা পর ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা ও জরিমানা গুণতে হবে’।
এসময় ব্যবসায়ীরা নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন প্রশাসককে। বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে কেউ কেউ অবৈধ স্থাপনা সরালেও অনেক স্থাপনা এখনো সরানো হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে চসিক তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে।

চট্টগ্রামের এই পোর্টকানেকটিং রোডটি সারা বাংলাদেশের পণ্য পরিবহনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এই সড়কটি সংস্কারে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে মানুষের যে ভোগান্তি হয়েছে এই ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার এবং প্রকৌশলীদের দ্রুতগতিতে কাজ করার নির্দেশনা দেন চসিক প্রশাসক। তারই ফলশ্রুতিতে কাজের গতি বৃদ্ধি পায় এবং আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে কাজটি সম্পূর্ণ শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মো. তৈয়ব।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট